প্রকাশ: ০৭:০২:১৩ AM, বুধবার, ফেব্রুয়ারী ১৯, ২০২০ | |
জনগণের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য চীন যে প্রযুক্তি তৈরি করেছিল করোনো ভাইরাস ঠেকাতে সেগুলোই এখন কাজে লাগাচ্ছে দেশটি। কোনো ব্যক্তি জ্বরে আক্রান্ত কিনা তা শনাক্ত করতে ফেসিয়াল রিকগনিশন সিস্টেমের থার্মাল ইমেজিং ব্যবহার করা হচ্ছে। কোয়ারেন্টাইন করে রাখা ব্যক্তিদের দরজার সামনে বসানো হয়েছে ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন। বাস ও ট্যাক্সিতে ভ্রমণ করা ব্যক্তিদের অ্যাপ থেকেও সংগ্রহ করা হচ্ছে ব্যক্তিগত তথ্য। বাস, ট্রেন ও প্লেনে চলাচলকারী ব্যক্তিদের মধ্যে কারও কোভিড-১৯ রোগ শনাক্ত হলে বাকিদের সতর্ক করতে শক্তিশালী ডেটা অ্যানালাইসিস সিস্টেম ব্যবহার করছে জনসংখ্যায় সর্ববৃহৎ দেশটি।
চীন সরকার, চায়না ইলেকট্রনিকস টেকনোলজি গ্রুপ করপোরেশন (সিইটিসি) মিলে ‘ক্লোজ কন্ট্যাক্ট ডিক্টেটর’ অ্যাপ তৈরি করেছে। আশপাশে অবস্থানরত কেউ কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত কিনা তা অ্যাপটি থেকেই জানা যাচ্ছে। অ্যাপটি থেকে তথ্য নিতে উইচ্যাট ও কিউকিউ অ্যাপে কিউআর কোড স্ক্যান করে নাম, ফোন নম্বর ও জাতীয় পরিচয়পত্রের আইডি দিতে হচ্ছে।
তবে গেল কয়েক দিন ধরে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে প্রযুক্তির পাশাপাশি ক্ষমতাও ব্যবহার করেছে চীন। জায়গায় জায়গায় চেক পয়েন্ট বসিয়ে ভ্রমণকারীদের আটকানো হয়েছে, যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ করা হয়েছে, কোয়ারেন্টাইন করে রাখা ব্যক্তিদের বাসার সামনে পাহারা বসানো হয়েছে।
এ প্রক্রিয়ায় কাজ হবে না জেনে রাজনৈতিক নেতারা ও প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো ভাইরাস ঠেকানোর নতুন কৌশল খুঁজে বেড়াচ্ছে।
উইচ্যাটের মূল কোম্পানি টেনসেন্ট একটি ম্যাপিং টুল তৈরি করেছে। কোথায় কোথায় করোনা ভাইরাসের রোগী অবস্থান করছে তা এ ম্যাপের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে।
চীনের তৈরি নতুন দুটি হাসপাতালে ব্যবহার হচ্ছে ইনফ্রারেড ইমেজিং সিস্টেম। এ সিস্টেমের মাধ্যমে কারও শরীরের তাপমাত্রা বেশি কিনা তা বোঝা যায়। একই ধরনের একটি সিস্টেম ব্যবহার হচ্ছে ট্রেনে, স্কুলে, অফিসে ও জনবহুল এলাকায়। এটি তৈরি করেছে এআই জায়ান্ট সেন্সটাইম। ড্রোন দিয়ে স্প্রে করা হচ্ছে জীবাণুনাশক ওষুধ এবং টেলিভিশনে সতর্কতা হিসেবে মানুষকে সবসময় মাস্ক পরে চলাচল করতে বলা হচ্ছে।
যাতায়াত ব্যবস্থা সীমিত হওয়ায় খাবার ও পানির জন্যও অ্যাপে আসল নাম দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হচ্ছে। ফলে যেকোনো নাগরিকের গতিবিধি আরও সহজে ট্র্যাক করতে পারছে চীন সরকার। করোনাভাইরাস থেকে হওয়ায় কোভিড-১৯ রোগের কারণে চীনের দুর্বলতাগুলো স্পষ্ট হয়েছে। তাদের হাতে বিশাল পরিমাণ ডেটা রয়েছে। কিন্তু এ ডেটা থাকার সুফল তারা কাজে লাগাতে পারছে না। চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ছড়ানো করোনা ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৬৯ হাজার ২৬৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৬৬৯ জনের।
সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected] |