প্রকাশ: ০৩:৫৮:১৫ PM, বুধবার, মে ২৭, ২০২০ | |
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন উন্নতির দিকে এগিয়ে চলছিল ঠিক তখনি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই করোনা ভাইরাসে বাংলাদেশ আজ আক্রান্ত।এই মহামারী থেকে কাটিয়ে উঠতে না উঠতে আসলো সাইক্লোন। একের পর এক বাধা আসা সত্ত্বেও আপনি আপনার সংকল্পে অটল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বনির্ভর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় আপনার সংগ্রাম অব্যাহত। আপনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ এই সমস্যার মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে ইনশাল্লাহ। তবে কিছু কিছু দলীয় লুটেরার কারণে আপনার চলার পথে কখনো কখনো সৃষ্টি করছে বাধা। এদের অনেকেই কখনো দলের দুঃসময়ে ছিল না। আজ আমি জাতির জনককে হত্যা করার পর সেই দুঃসময়ে যারা সংগ্রাম করেছিল তাদের কিছু নাম এখানে উল্লেখ করতে চাই।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে আপনার এই সংগ্রামে এসব হারিয়ে যাওয়া সৈনিকদের কাছে টেনে আনার আবেদন জানাই। স্বাধীনতা-উত্তর হক, তোহা, মতিন আলাউদ্দিন, জাসদ, সিরাজ সিকদার ও মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম ও পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পরবর্তীতে ঢাকায় ছাত্রলীগের গোপনীয় আন্দোলন এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য যারা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিল সেই সকল আদর্শবান ব্যক্তিদের নাম স্মরণ করতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, তারা আজ খুবই অবহেলিত। তাদের আজ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যেখানে থাকার কথা তারা সেখানে নেই।
বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর কমিটিতে প্রথম সভাপতি মমতাজ হোসেন আর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সৈয়দ নুরুল ইসলাম। আমি তখন ঢাকা মোহাম্মদপুর থানা ও আইডিয়াল কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। পরবর্তীতে ঢাকা মহানগরের সভাপতি সৈয়দ নুরুল ইসলাম ও শফিকুর রহমান সাধারণ সম্পাদক হলে আমি, আব্দুর রউফ শিকদার, মোহাম্মদ ইউনুস এই কমিটির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হই। বঙ্গবন্ধুর বাসভবনের ড্রইং রুমে যে টেবিলটি আজও বহাল আছে এখানেই বসে আমরা কামাল ভাইয়ের নেতৃত্বে আলোচনা সভা করতাম। এমনি এক সভায় একদিন কামাল ভাই তার দুই হাত দিয়ে কালো গোঁফে তা দিয়ে বলেছিলেন, তোরা একদিন ঢাকার রাজনীতির নেতৃত্ব দিবি। তোদের নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন। আজ কামাল ভাই নাই। কিন্তু আপনিতো আছেন। কমান্ডার কামাল ভাইয়ের এসকল প্রিয় মানুষদের আপনি আপন করে নিন। এরা যদি কখনো কোনো ভুলও করে থাকে তবুও তারা আপনার কাছে ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য। ওদের নিজ গুণে ক্ষমা করে দিন।
আমরা যখন ঢাকায় ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ছিলাম তখন জাসদ সমর্থিত ঢাকা মহানগর ছাত্র সংগঠনের সভাপতি সাহাবুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আখতারুজ্জামান। এই আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে জাসদ সমর্থিত ছাত্র সংগঠনের সাথে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমাদের সবসময় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। আখতারুজ্জামান বর্তমানে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয়। ঠিক একইভাবে আজ জাসদের অন্যদের আওয়ামী লীগ ও বর্তমান মন্ত্রী পরিষদে টেনে আনা হয়েছে। অথচ এরা ছিল সেদিন আমাদের সবচেয়ে বড় এনেমি। আজ সেই জাসদের অনেকেই এখন বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের মুখপাত্র।
পঁচাত্তরের জানুয়ারিতে বাকশাল প্রতিষ্ঠা হলে ছাত্রলীগের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় জাতীয় ছাত্রলীগ। ঢাকা মহানগর জাতীয় ছাত্রলীগের ১৩ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটির আহবায়ক সৈয়দ নুরুল ইসলাম, সদস্য ছিলাম আমি, আব্দুর রউফ শিকদার, মোহাম্মদ ইউনুস। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে সৈয়দ নুরুল ইসলাম, আব্দুর রউফ শিকদার ও মোহাম্মদ ইউনুস ও কর্মী মোবারক হোসেন সেলিম, আব্দুস সামাদ পিন্টু, শামীম আফজালসহ অনেকে সৈয়দ নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে পাহাড়ের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে।
অন্যদিকে আমরা যারা ঢাকায় ছিলাম তারা এই কঠিন সময়ে ছাত্রলীগ নেতা ওবায়দুল কাদের (সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ), মমতাজ হোসেন (সাবেক রাষ্ট্রদূত), ডাক্তার মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন (সাবেক এমপি), খ, ম, জাহাঙ্গীর (সাবেক মন্ত্রী), মুকুল বোস (আওয়ামী লীগ উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য), রবিউল আলম মুক্তাদির চৌধুরী এমপি (সভাপতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ), ইসমত কাদির গামা (কোনো দায়িত্ব নেই), মানিকগঞ্জের গোলাম মহিউদ্দিন (সভাপতি, মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ), চট্টগ্রামের এস এম ইউসুফ (না ফেরার দেশে)সহ অন্যদের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রক্তচক্ষুর আড়ালে গোপনে ঢাকায় প্রতিবাদী আন্দোলন গড়ে তুলি। এসকল নেতাদের অনেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ করলেও তাদের আজ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান নেই। এর চেয়ে বড় দুঃখ আর কি হতে পারে।
আজ যারা আওয়ামী লীগে বিভিন্ন পদ অলঙ্করণ করে আছেন তাদের কাউকেই সেদিন ঢাকার গোপন আন্দোলনে খুঁজে পাওয়া যায়নি। জাসদের অনেকে এখন আজ আওয়ামী লীগে প্রচণ্ড ক্ষমতাবান। আপনি জাতির জনকের কন্যা, আপনি বার বার দুঃসময়ের কর্মীদের কাছে আনার কথা বললেও আজ পর্যন্ত বাস্তবে তার তেমন প্রতিফলন দেখা যায়নি। দুঃসময়ের এসকল নেতারা আপনার দিকে এখনো তাকিয়ে আছে। আবারো কোনো বিপদ আসলে এরাই আবার ঝাঁপিয়ে পড়বে। কারণ এরা পরীক্ষিত সৈনিক।
বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার মোস্তাকের ডাকে সংসদে না যাওয়ার জন্য সংসদ সদস্যদের কাছে সেদিন হুমকি চিঠি এরাই দিয়েছিলো। এসকল ছাত্রলীগের কর্মী ও নেতারা সেদিন পঁচাত্তরের ৪ নভেম্বরের মিছিলকে সফল করেছিল। এই মোহাম্মদ ইউনুস সেদিন সামরিক বাহিনী প্রধান জেনারেল জিয়াউর রহমানকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে বাধা দিয়েছিল। ইসমত কাদির গামা, রবিউল আলম মুক্তাদির চৌধুরী, মুকুল বোস, মমতাজ হোসেন, ডাক্তার মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, খ ম জাহাঙ্গীর, কামাল আহমেদ মজুমদার (বর্তমানে মন্ত্রী), ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা (বর্তমানে মন্ত্রী), টাঙ্গাইলের আজিজ বাঙাল, আব্দুর রউফ শিকদার, আব্দুস সামাদ পিন্টু, আব্দুস সালাম, মোবারক হোসেন সেলিম, শামীম আফজাল, আকবর আলী মর্জি, এডভোকেট নাজমা, পারভীন সুলতানা (লন্ডন প্রবাসী)সহ অন্যদের ঢাকায় কিংবা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে কি কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে স্থান দেওয়া যায় না? এদের অনেকের ভুল অবশ্যই ক্ষমাযোগ্য বলে মনে করি। কারণ এরাই ১৫ আগস্ট পরবর্তীতে নিজের জীবনকে বাজি রেখে ঢাকায় গড়ে তুলেছিল আন্দোলন।
এদিকে পঁচাত্তরে পাহাড়ের যুদ্ধে কাদের সিদ্দিকী কমান্ডার শেখ কামাল ভাইয়ের প্রিয় ব্যক্তি সৈয়দ নুরুল ইসলামের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে তাকে গুলি করে হত্যা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সেই হত্যার বিচার এখন পর্যন্ত হয়নি। এখন কাদের সিদ্দিকী যখন বড় গলায় পাহাড়ের যুদ্ধের কথা বলেন, তখন কখনো কোথাও সৈয়দ নুরুল ইসলামসহ তার অনুসারীদের নাম উল্লেখ করেন না। তিনি আজ একদিকে বঙ্গবন্ধুর জন্য কাঁদেন অন্যদিকে খালেদা জিয়াকে পরিয়ে দেন গামছা। আর বলেন জিয়াউর রহমান নাকি স্বাধীনতার ঘোষক। একদিকে বলেন শেখ হাসিনা শেখ রেহানা তার বোন অন্যদিকে শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাতের জন্য করেন ষড়যন্ত্র। সৈয়দ নুরুল ইসলামের অনুসারীরা যারা পঁচাত্তরের পাহাড়ের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন তাদের দাবি সৈয়দ নুরু হত্যার জন্য কি কাদের সিদ্দিকীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায় না? সেই হত্যার অনেক সাক্ষী এখনো জীবিত আছেন। প্রয়োজনে তারা সাক্ষ্য দিতেও প্রস্তুত।
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর পর সৈয়দ নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে যারা পাহাড়ের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে, যারা ঢাকায় অবস্থান করে জাতির জনকের হত্যার প্রতিশোধ নিতে ছাত্রলীগের গোপনীয় আন্দোলনে সক্রিয় ছিল তাদেরই তো আজ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি কিংবা ঢাকায় গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার কথা। তারা আজ কেন অবহেলিত? তাদের অনেকেই আজ ধীরে ধীরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। অথচ এদের নিয়েই একদিন আমাদের কমান্ডার শেখ কামাল ভাই স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু কেন এমন হবে এটাই আমাকে সারাক্ষণ ভাবায় পীড়া দেয়।
উচ্চ শিক্ষিত রবিউল আলম মুক্তাদির চৌধুরীর সব ধরণের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তিনি আজ মন্ত্রিত্ব পাওয়া থেকে অবহেলিত। নিশ্চয়ই কেউ না কেউ আপনার কাছে তার বিরোধিতা করেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পরবর্তীতে এই রবিউল আলম চৌধুরী আমাদের আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিলেন। মমতাজ হোসেন একবার ব্রুনাইতে রাষ্ট্রদূত হওয়ার পর তিনি কেন আজ বার বার অবহেলিত? জানি না কি কারণে আপনার তালিকা থেকে তাকে দূরে রাখা হয়েছে। অথচ তিনি একজন দুঃসময়ের পরীক্ষিত নেতা ও কামাল ভাইয়ের একনিষ্ঠ সাথী। আজ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে তার স্থান হয় না কেন? ঢাকায় আজ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে নমিনেশন না দিয়ে দেওয়া হয় হাজি সেলিমকে। মমতাজ হোসেনকে নমিনেশন না দিয়ে সেখানে দেওয়া হয় তার চেয়ে অনেক জুনিয়ার ধনশালী জনৈক ব্যক্তিকেl। অথচ রবিউল আলম মুক্তাদির চৌধুরী, ডাক্তার মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও মমতাজ হোসেন ছিলেন কমান্ডার শেখ কামাল ভাইয়ের একনিষ্ঠ সাথী ও প্রিয় ব্যক্তি।
মুকুল বোস পঁচাত্তরের পরবর্তীতে আমাদের সাথে আন্দোলন করতে যেয়ে জেনারেল জিয়ার মিলিটারিদের হাতে ধরা পরে প্রচণ্ড নির্যাতনের শিকার হন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তার ভূমিকার কারণে প্রথমে তাকে সংস্কারপন্থী বলে দূরে সরিয়ে রাখা হয়। কিন্তু কেন সেদিন তিনি এই ভূমিকায় আসতে বাধ্য হয়েছিলেন তার কারণ কি কোনোদিন জিজ্ঞাসা করা হয়েছে? বর্তমানে তাকে উপদেষ্টা বানিয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছে। গত নির্বাচনে পুরান ঢাকার একটি এলাকা থেকে তার এমপি হওয়ার ইচ্ছা থাকলে সেখানে এই আসনটি জাতীয় পার্টির জনৈক ব্যক্তির কাছে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
অথচ আজ আপনার আসে পাশে থাকা কয়েকজন ব্যক্তি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আছেন যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় স্ব স্ব জবানবন্দিতে মিলিটারিদের কাছে কি বক্তব্য দিয়েছিলেন তার প্রমাণ এখনো ইউটিউবে শুনতে পাওয়া যায়। এদের মধ্যে কয়েকজন আছেন যারা ছাত্রলীগ করলেও পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট পরবর্তীতে কোনো আন্দোলনে পাওয়া যায়নি। সত্যি কী ভাগ্যবান ব্যক্তি তারা। বঙ্গবন্ধুর হত্যা নিয়ে এসকল নেতাদের বার বার টেলিভিশিনে অপরকে দায়ী করে বক্তব্য দিতে শোনা যায়। অথচ ১৫ আগস্টের পরে তাদের কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আজ আমাদের কমান্ডার কামাল ভাই বেঁচে থাকলে এদের অনেকেই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে থাকতো বলে আমার বিশ্বাস। আব্দুর রউফ শিকদার, মোহাম্মদ ইউনুস, কামাল মজুমদার, মোবারক হোসেন সেলিম, আব্দুস সামাদ পিন্টু, ডাক্তার মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মমতাজ হোসেন, শামীম আফজাল, এডভোকেট নাজমা এদেরতো আজ ঢাকা সিটি, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কিংবা কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকার কথা। তাদের কেন আজ দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে? এরা সকলেই নিজ নিজ রক্ত দিয়ে লিখেছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নাম। দেশের প্রয়োজনে আবারো রক্ত এরাই দিবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা শ্রদ্ধেয় শেখ হাসিনা আপা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী দুঃসময়ের এসকল পরীক্ষিত কর্মীদের আপনার কাছে রাখুন। জাসদসহ অন্য দল থেকে আওয়ামী লীগে লোক না এনে এদের কাজে লাগান। দীর্ঘদিন থেকে এদের অনেককে আওয়ামী লীগ অবহেলা করলেও তারা দল ছেড়ে যায়নি। কারণ তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী। আমি এখন সুইডেনে মূলধারার রাজনীতিতে সক্রিয়। বাংলাদেশে বেড়াতে গিয়ে আমার একসময়ের এসকল রাজনৈতিক সাথীদের এই করুণ অবস্থা দেখে খুব দুঃখ লাগে। মনে খুব কষ্ট পাই। পঞ্চাশ বছরের কাছাকাছি বঙ্গবন্ধুর আদর্শবাদী হওয়া সত্ত্বেও আজ তাদের অনেকের আওয়ামী লীগের কমিটিতে স্থান নেই।
শেখ কামাল ভাই আমাদের কমান্ডার। কামাল ভাইয়ের এসকল প্রিয় ব্যক্তিরা যদি কখনো কোথাও ভুল করে থাকে তবুও তারা দুঃসময়ের পরীক্ষিত নক্ষত্র। একমাত্র এই কারণেই তারা আপনার কাছে ক্ষমা পাওয়ার দাবিদার। আপনার কাছে বিনীত আবেদন, ওদের ক্ষমা করে দিন। ওদের কাছে টেনে নিন। এসকল কর্মীদের আপনার বর্তমান সংগ্রামে সাথে রাখুন। ইনশাল্লাহ জয় আপনারই হবে। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আপনার বিকল্প আর কেউ নেই। জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা হিসেবে একমাত্র আপনি পারবেন এক আলোকিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। আপনার সর্বাত্মক মঙ্গল ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।
লেখক: নির্বাচিত সদস্য মনোনয়ন বোর্ড সুইডিশ লেফট পার্টি সেন্ট্রাল কমিটিনির্বাচিত সদস্য পোস্টাল ট্রেড ইউনিয়ন স্টকহল্ম সাউথ ব্রাঞ্চ
সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected] |