যশোরে শিবির অফিসের নির্মাণাধীন ভবনে মাটির নিচে গোপন ঘর তৈরির সময় ছয়জনকে আটক এবং ১০টি বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ৫৩ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় এ মামলা করা হয়। ওই দিন ১১ জনকে আটক করা হলেও এ মামলায় চারজনকে আটক দেখানো হয়। পরে শুক্রবার ভোরে আরও দুইজনকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন যশোর সদরের গাইদগাছি এলাকার মিজানুর রহমান টিটো, কেফায়েতনগর গ্রামের আল আমিন, বসুন্দিয়া খোলাডাঙ্গা গ্রামের আবদুস সালাম, বসুন্দিয়া বিনিময়পাড়ার আবদুল ওয়াদুদ, জগন্নাথপুর গ্রামের আলী আকবর ডাক্তার ও ইলিয়াস হোসেন। কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন জানান, বসুন্দিয়ার ভৈরব নদের পাড়ে জামায়াত-শিবির বড় ধরনের নাশকতা পরিকল্পনার উদ্দেশে ভবনের নিচে গোপন ঘর তৈরি করছিল। গোপনে এ খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানকালে ১১ জনকে আটক এবং ১০টি বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় শুক্রবার ভোরে আরও দুইজনকে আটক করা হয়। তিনি আরও জানান, ভবনের নিচে গোপন ঘর তৈরির ঘটনাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, যশোর-খুলনা মহাসড়কের পাশে জামায়াত অধ্যুষিত বসুন্দিয়া বাজার মোড়ে ছাত্রশিবিরের আঞ্চলিক কার্যালয় অবস্থিত। এর পেছনে ২০০ গজ দূরে ভৈরব নদের পাড়ে বাগানের মধ্যে চলছিল ওই ভবন নির্মাণ।
একই সঙ্গে ওই ভবনের মাটির নিচে তৈরি করা হচ্ছিল গোপন আস্তানা। যে জমিতে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছিল তার মালিক ইউনিয়ন শিবিরের সভাপতি রাশেদ। আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের নাশকতার অংশ হিসেবেই এটি তৈরি করা হচ্ছিল বলে সন্দেহ এলাকাবাসীর।