আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ৬-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

‘শ্রমিক-মালিক ভেদাভেদ ভুলতে হবে’

| প্রথম পাতা

গাজীপুর প্রতিনিধি : বিজিএমইএর সভাপতি ড. রুবানা হক বলেছেন, কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক-মালিক ভেদাভেদ ভুলে যেতে হবে। নইলে ভালো কিছু করা যাবে না। সাংঘর্ষিক অবস্থানে যাওয়া যাবে না। দমন-পীড়নে কল্যাণ হয় না। শ্রমিকদের কল্যাণ না হলে মালিকদেরও কল্যাণ হবে না। যে কোনো সমস্যা আন্তরিকতা দিয়ে সমাধান করতে হবে। রোববার গাজীপুরের আসন্ন রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জেলা পুলিশ আয়োজিত শিল্প কলকারখানার নিরাপত্তা ও সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 
গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিকেএমইএর সিনিয়র জয়েন্ট সেক্রেটারি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, হামীম গ্রুপের জিএম মাহফুজুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল শেখ ও মো. গোলাম সবুর।
রুবানা হক বলেন, তৃতীয় পক্ষের উস্কানি ছাড়া কলকারখানায় কোনো গ-গোল হয় না। তৃতীয় পক্ষ যাতে মাঝখানে দাঁড়াতে না পারে সেটি খেয়াল রাখতে হবে। মধ্যম স্তরের ব্যবস্থাপনায় সঠিক তথ্য দিচ্ছে কিনা যাচাই করে দেখতে হবে। কোনোভাবেই শ্রমিকদের বঞ্চিত করা যাবে না। শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার দায়বদ্ধতা আমাদের। না পারলে হাত গুটিয়ে বসে থাকা যাবে না। কীভাবে বেতন দেয়া যায়, তার উপায় বের করতে হবে। বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, আমি কখনও শ্রমিক ভয় পাই না। আমি ভদ্র লোক ভয় পাই। মুখোশধারী ভদ্র লোক ভয় পাই। শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলা যায়। কিন্তু যারা শ্রমিকদের দারিদ্র্য নিয়ে বড় বড় পরিসংখ্যান তৈরি করেন তাদের আমি সহ্য করতে পারি না। কারখানার মালিক ও শ্রমিকের সম্পর্কটা হতে হবে বন্ধুত্বের মতো, কোনো শ্রমিকের ওপর অযাচিত বল প্রয়োগ করা যাবে না, কোনো অবস্থাতেই সাংঘর্ষিক হওয়া যাবে না। সব সময় আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে। এখনও আমাদের লজ্জার মধ্যে পড়তে হয়, যখন আমরা দেখি ট্রাক ভরে বেতনের দাবিতে শ্রমিকরা বিজিএমইএর প্রধান কার্যালয়, সড়ক-মহাসড়কে অবস্থান নেয়। নারীদের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ড. রুবানা হক আরও বলেন, নারীরা আজ আমাদের সম্পদ, উন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে হলে নারীদের সব ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে, পুরুষের সঙ্গে সমানতালে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে।