যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও রাশিয়া সফরে গিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে আলোচনায় বিশ্বজুড়ে মস্কোর ‘আগ্রাসী ও অস্থির’ কর্মকা- নিয়ে কথা তুলবেন।
ভেনেজুয়েলা ও সিরিয়ায় ক্রেমলিনের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ জানানোর পাশাপাশি তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইন্টারমিডিয়েট রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্স চুক্তি (আইএনএফ) লঙ্ঘন এবং মার্কিন নির্বাচনে মস্কোর হস্তক্ষেপ বিষয়েও আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
সোমবার মস্কো গিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রথমে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মী এবং পরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলবেন। মঙ্গলবার সোচিতে তার সঙ্গে পুতিন ও ল্যাভরভের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
‘রুশ সরকারের সঙ্গে আমাদের অনেক বিষয়ে মতবিরোধ আছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করবেন ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উদ্বেগগুলো তুলে ধরবেন,’ বলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা।
রাশিয়ার সঙ্গে ‘ফলপ্রসূ আলোচনা’ এবং দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সহযোগিতার পথ বের করতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও জোর দিয়েছেনÑ বলেন তিনি।
খবরে বলা হয়, মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে অনেক বিষয়ে মতভিন্নতা থাকলেও উত্তর কোরিয়া, আফগানিস্তান ও সন্ত্রাসবাদবিরোধী লড়াইয়ে দুই পক্ষের তৎপরতায় অগ্রগতিও লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
গেল সপ্তাহে ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে নতুন একটি পরমাণু অস্ত্র চুক্তি এবং তাতে চীনের অন্তর্ভূক্তির প্রসঙ্গেও কথা বলেছেন।
২০১১ সালে ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে হওয়া নিউ স্টার্ট (স্ট্র্যাটেজিক আর্মস রিডাকশন ট্রিটি) চুক্তির মেয়াদও দুই বছর পর শেষ হয়ে যাবে। দুই পক্ষ সম্মত হলে চুক্তিটির মেয়াদ আরও ৫ বছর বাড়ানো যাবে। এ চুক্তি ছাড়া বিশ্বের শীর্ষ দুই ক্ষমতাধর দেশের অস্ত্র প্রতিযোগিতা আটকানো যাবে না বলে শঙ্কা পর্যবেক্ষকদের।
বারাক ওবামা আমলে স্বাক্ষরিত এ চুক্তিকে ‘বাজে ও একপাক্ষিক’ অভিহিত করে আসছেন ট্রাম্প। মেয়াদ বৃদ্ধির সময় চুক্তির কিছু শর্তে পরিবর্তন আনতে ট্রাম্প প্রশাসন চেষ্টা করছে বলেও অনুমান অনেকের।