পাবনার সর্বত্র তীব্র তাপদাহ আর গরমের কারণে অস্থির সময় পার করছে মানুষ। স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারছেন না দিনমজুররা। প্রচ- গরমে পুকুর বা ডোবার পানিতে নেমে গা ভিজিয়ে স্বস্তি নিতে দেখা গেছে অনেককেই। একটু স্বস্তির জন্য গাছের ছায়ায় জিরিয়ে নিতে দেখা গেছে পথচারীদের। এ গরমে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত শিশুসহ সব বয়সের রোগীর সংখ্যা। গেল এক সপ্তাহে গরমের কারণে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি রয়েছে ৩২ এবং শিশু ওয়ার্ডে ৮৫ জন। পাবনার ঈশ^রদী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক নাজমুল হক বলেন, শনিবার বিকাল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮.৭ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ২৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এক সপ্তাহ ধরে পাবনা জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের তাপদাহ প্রবাহিত হচ্ছে। দুই দিন পাবনা জেলায় ৩৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা প্রবাহিত হয়েছে। কবে নাগাদ বৃষ্টি হবে বা তাপমাত্রা সহনশীল হবে এ তথ্য আগাম বলা যাচ্ছে না। তবে বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা এ রকমই থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রচ- তাপদাহের কারণে খুব প্রয়োজন না হলে ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষ। সূর্যের প্রচ- উত্তাপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। গরমের কারণে জেলা ও উপজেলা হাসপাতালগুলোতে ডায়রিয়া ও পানিশূন্যতাসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে প্রতিদিন ভিড় করছে রোগীরা। শনিবার দুপুরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে রোগীর ব্যাপক চাপ দেখা গেছে। ২৫০ শয্যা হাসপাতালের কক্ষ ছাড়িয়ে বারান্দায় বিছানা পেতে রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিতে দেখা যায়। পাবনা জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. লামিয়া সুলতানা জানান, প্রচ- গরমের কারণে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ শ^াসকষ্টজনিত নানা সমস্যা নিয়ে শিশুরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। তিনি পরামর্শ দিয়ে বলেন, গরমে বাচ্চাদের ঘন ঘন পানি খাওয়াতে হবে। রোগ প্রতিরোধের জন্য দেশীয় ফল ডাব, কলা, তরমুজ, আনারস, কাকর, পেয়ারা, জামরুল খাওয়া যেতে পারে।