আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১২-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

ভৈরবে তীব্র লোডশেডিং দুর্ভোগে গ্রাহক

মো. আল আমিন টিটু, ভৈরব
| দেশ

দেশের বন্দরনগরী কিশোরগঞ্জের ভৈরবে অসহনীয় মাত্রায় বিদ্যুতের লোডশেডিং চলছে। রমজানের শুরু থেকেই লোডশেডিংয়ের মাত্রা দিন দিন বেড়ে চলেছে। ইফতার কিংবা সাহরি খাওয়ার সময়, ফজর কিংবা তারাবি নামাজের সময় বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। প্রচ- গরমে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারছেন তারা। ফলে জনদুর্ভোগ চরমে ওঠেছে। জানা গেছে, উপজেলার শিমুলকান্দি, আগানগর, গজারিয়া ইউনিয়নসহ ভৈরবে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছেন। এর মধ্যে ছোট-বড় মিল ও কল-কারখানার প্রায় তিন হাজার বাণিজ্যিক গ্রাহক রয়েছেন। ফলে প্রতিদিন ভৈরবে ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে; কিন্তু গড়ে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতও পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। অনুসন্ধানে জানা যায়, আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ভৈরবে বিদ্যুৎ সরবরাহের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পাওয়ার ট্রান্সফারমারটি বেশ পুরোনো হয়ে পড়েছে। ফলে বার বার ট্রান্সফারমারটিতে ত্রুটি দেখা দেয়। একই কারণে মেঘনার নদীর ওপর দিয়ে রেলসেতুর হয়ে আসা ৩৩ হাজার কেভি ভোল্টের ক্যাবলটি লোড নিতে পারছে না। এতে প্রায়ই আগুন ধরে যায়। ফলে ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। এদিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে শহরের ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। একইসঙ্গে বিভিন্ন মিল, কল-কারখানার মোটর, বাসাবাড়ির ফ্রিজ, এসি ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ঘন ঘন নষ্ট হচ্ছে। ফলে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন গ্রাহকরা। অন্যদিকে মোমবাতির আলোতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনা এবং কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জেনারেটর বিকল থাকায় ভর্তি রোগীরা প্রচ- গরমে ছটপট করেন।  এ প্রসঙ্গে ভৈরব চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আলহাজ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু এ শহরে দিন কিংবা রাতের অধিকাংশ সময় বিদ্যুতের লোডশেডিং চলছে। ফলে ব্যবসায়ীদের প্রতিদিন অন্তত ১০ কোটি টাকার লোকসান গুনতে হচ্ছে। ভৈরব বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রচ- গরমে বিদ্যুতের চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে যায়, ফলে সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাছাড়া আশুগঞ্জ থেকে ভৈরবে বিদ্যুৎ সরবরাহের পাওয়ার ট্রান্সফারমারটিতে যতবার ত্রুটি দেখা দিচ্ছে, ততবারই আমরা মেরামতের মাধ্যমে স্বাভাবিক বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা করছি। আশা করছি, অচিরেই এ সমস্যার সমাধান হবে।