আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১২-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

চৌহালীতে যমুনার ভাঙন

চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
| দেশ

সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে ভাঙছে নদী, বিলীন হচ্ছে চিরচেনা বসতভিটা ও ফসলি জমি- আলোকিত বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে ভাঙছে নদী, বিলীন হচ্ছে চিরচেনা বসতভিটা, ফসলি জমি, আর কাঁদছে মানুষ। একসময়ের বিত্তশালীরা অসহায় হয়ে খুঁজছে মাথা গোঁজার ঠাঁই। তাদের করুণ আর্তনাদে যমুনা পাড় যেন দুঃখের ময়দান। অসময়ে নদী ভাঙনের এমন চিত্র সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের আড়কান্দি চরের মানুষকে হতবিহ্বল করে দিয়েছে। জানা যায়, যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গেল দেড় মাসের ব্যবধানে নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত ব্রাহ্মণগ্রাম থেকে দক্ষিণে পাচিল পর্যন্ত ছয়টি গ্রামের অর্ধশতাধিক বসতভিটাসহ কয়েক শতাধিক হেক্টর জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার আড়কান্দিচর গ্রামে চলে ভয়াবহ ভাঙন। এতে একে একে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি ও বসতভিটা। ঘরবাড়ি হারিয়ে বাস্তুহারা হয়ে পড়ছে মানুষ। খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে অনেকে। চিরচেনা বসতভিটা, ফসল ও জমি হারিয়ে পথের ফকির হতে বসেছে অনেকেই। স্থানীয়রা জানান, বর্ষার আগেই যমুনা রুদ্ররূপ ধারণ করায় এলাকার সবার মাঝেই আতঙ্ক কাজ করছে। বিশেষ করে পাচিল-সিরাজগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক, বহু তাঁত কারখানা, মাদ্রাসা-মসজিদ, কবরস্থানসহ কয়েকশ’ ঘরবাড়ি চরম হুমকির মধ্যে পড়েছে। এদিকে একই তালে যমুনা নদীর পূর্বপাড় চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া, খাষপুখুরিয়া, সদিয়াচাঁদপুর ও স্থল ইউনিয়নে চলছে যমুনার ভাঙন। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (এসও) প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, এলাকার ভাঙন রোধে পাউবো সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ব্রাহ্মণগ্রামে ভাঙন রোধে কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি, বাকি এলাকাগুলোতেও কাজ হবে।