রাজধানীর রামপুরা ইউলুপের ওপর একটি লরি উল্টে গিয়ে রামপুরাসহ আশপাশের সড়কে চরম যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার রাত ৩টায় লরিটি উল্টে গেলেও মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে সেটি সরানো হয়। এদিকে দীর্ঘ ১১ ঘণ্টায় উল্টে যাওয়া লরিটি সরাতে না পারায় সড়কে যান চলাচল কমে যাওয়ায় রামপুরা-মালিবাগ ও রামপুরা-বনশ্রী সড়কে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় লরিটি সরাতে ঢাকা মহানগর ট্রাফিক বিভাগ ও সিটি করপোরেশন পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় ভুক্তভোগী চালক-যাত্রীদের পাশাপাশি স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ট্রাফিক সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে লরিটি উল্টে যায়। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত সেটি সরানো হয়নি। দুপুর ২টার দিকে সেটি সরানো হলে আস্তে আস্তে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ইউলুপ দিয়ে প্রতিটি গাড়ি স্বল্পগতিতে পার হচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজটও বেড়ে চলছে। ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা যানজট নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। সরেজমিন পরিদর্শনকালে বনশ্রী রাস্তায় যানজট বেশি দেখা গেছে। সেখানকার জট মেরাদিয়া ছাড়িয়ে ত্রিমোহনী পর্যন্ত ঠেকেছে। ট্রাফিক বিভাগের ভাষ্য, এত ভারী লরি সরানোর মতো যন্ত্র নেই তাদের। লরিটি সরানো না গেলে রাস্তা সচল
করা সম্ভব নয়। পরে দুপুর ২টার দিকে ক্রেন এনে লরিটি সরানো হয় বলে জানা গেছে। ডিএমপির ট্রাফিক পূর্ব বিভাগের রামপুরার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) বিপ্লব ভৌমিক বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে লরিটি উল্টে গেছে। যে কারণে সকাল থেকে যানবাহন চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হয়ে যানজট তৈরি হয়েছে। বনশ্রীর সড়ক থেকে যারা ইউলুপ ব্যবহার করেন তারা নিচ দিয়ে ঘুরে রামপুরা সড়কে উঠছেন। যার কারণে বনশ্রী সড়কের পাশাপাশি রামপুরা-মালিবাগ সড়কেও যানবাহনের চাপ তৈরি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, উল্টে যাওয়া লরিটি সরানোর মতো অবস্থা ট্রাফিকের নেই। ক্রেন দিয়ে লরিটি সরাতে হয়। এ বিষয়ে কমলাপুরে যোগাযোগ করা হয়। নানা নিয়ম-কানুন থাকায় কিছুটা সময় লাগে।