বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত জামদানি মেলা উদ্বোধনের পর বৃহস্পতিবার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ষ আলোকিত বাংলাদেশ
সোনারগাঁয়ের জামদানি পল্লীতে স্থায়ীভাবে শিল্পনগরী গড়ে তোলার তাগিদ দিয়ে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, ‘জামদানি আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের গর্ব। তাই জামদানির প্রসারকে আরও সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে শিল্পনগরীতে স্থায়ী প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করতে হবে; গড়ে তুলতে হবে পর্যটন কেন্দ্র। এখানে সারা বছর প্রদর্শনী হবে, যাতে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা সেখানে অবস্থান করে কেনাকাটার সঙ্গে সঙ্গে জামদানির ইতিহাস জানতে পারেন, আত্মস্থ করতে পারেন এ শিল্পের ঐতিহ্য। এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নে শিল্প মন্ত্রণালয় সহায়তা করবে। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির যৌথ উদ্যোগে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া জামদানি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিল্পকলা একাডেমির এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক), শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবু হালিম, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মিজানুর রহমান, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আবু হেনা মোস্তাফা কামাল ও সংসদ সদস্য তামান্না নুসরাত বুবলী। সভাপতিত্ব করেন মোশতাক হাসান। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, সোনারগাঁয়ে শিল্প নগরী গড়ে তুলতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সহায়তা করবে। শিল্পনগরী গড়ে উঠলে এ পেশার শিল্পী ও কর্মীরা পেশা ত্যাগ করবে না। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিল্পী ও তাঁতিদের ঋণ প্রদানের আহ্বান জানান। শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০ দিনব্যাপী এ মেলা ২৫ মে পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে মেলা। ২৫টি স্টলে বিভিন্ন ধরনের জামদানি বিক্রি হবে। এসব শাড়ির মধ্যে রয়েছে তেরছা, জলপাড়, পান্নাহাজার, করোলা, দুবলাজাল, বলিহার, শাপলাফুল, আঙ্গুরলতা, কলমিলতা, চন্দ্রপাড়, ঝুমকাসহ বাহারি সব জামদানি। এখানকার স্টলের বিক্রেতারা আশা প্রকাশ করেন, প্রতিবারের মতো এবারও মেলায় বিক্রি ভালো হবে।