গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে ক্ষতিগ্রস্ত ধানক্ষেত। বৃহস্পতিবার তোলা ছবি- আলোকিত বাংলাদেশ
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে তিনটি অবৈধ ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে প্রায় ৬ হেক্টর বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিপূরণ ও কঠোর শাস্তির দাবিতে অসহায় কৃষক ঘুরছেন উপজেলার দপ্তরে দপ্তরে। উপজেলা কৃষি অফিস ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার বোডঘর, হিজলতলী, বলিয়াদী, মরকাবহ, কুুতুবদিয়া, মেদীআশুলাই, আষাড়িয়াবাড়ী, বড়ইবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় দুই ফসলি জমির ওপর গড়ে উঠেছে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০টি অবৈধ ইটভাটা। এর মধ্যে উপজেলার আটাবহ ইউনিয়নের দরবাড়িয়া এলাকায় এনএমবি নামের একটি ইটের ভাটার বিষাক্ত গ্যাসে প্রায় ২ হেক্টর এবং বেগুনবাড়ী এলাকায় এসবিসি ও এমবিসি নামে দুইটি ইটভাটায় বিষাক্ত গ্যাসে ৪ হেক্টর জমির বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে কৃষক সামসুল হক, হাজিরা বেগম, শুকুর আলী, ওসমান মিয়া, আবদুল কাদের অভিযোগ করে বলেন, ইটভাটা বন্ধের পর ১৫ দিন পানি দিয়ে রেখে পরে তা খোলে দিতে হয়। কিন্তু ওই তিনটি ইটভাটায় দুই দিনের মাথায় বিষাক্ত গ্যাস ছেড়ে দিয়েছে ইটভাটা কর্তৃপক্ষ। এ বিষাক্ত গ্যাসে প্রায় ৬ হেক্টর বোরো ধানক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ওই গ্যাসে মৌসুমি ফসল, গাছপালাসহ বিভিন্ন শস্য জলসে গেছে। বেগুনবাড়ী এলাকার এসবিসি ইটভাটার ম্যানেজার সোহেল বলেন, গ্যাসের কারণে যেসব কৃষকের ক্ষতি হয়েছে, আমরা ওইসব কৃষকের ক্ষতিপূরণ দিয়েছি। যদি কেউ না পেয়ে থাকে, তারা আমাদের সঙ্গে যোগযোগ করলে তাদের ক্ষতিপূরণ দেব। দরবাড়িয়া এলাকার এনবিএম ইটভাটার মালিক ওবায়দুল জানান, ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসের কারণে বোরো ধানের ক্ষতি হয়নি। ওই ধানক্ষেতে পোকার কারণে ক্ষতি হয়েছে। কালিয়াকৈর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আশীষ কুমার কর জানান, পানি দিয়ে ১৫ দিন রাখার পর ইটভাটার গ্যাস ছাড়ার কথা থাকলেও তারা দুই থেকে তিন দিনে ছেড়ে দিয়েছে। ফলে বিষাক্ত গ্যাসে ধানক্ষেতের হয়েছে। এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।