প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের শিরোপা ধরে রাখতে হলে আজ পূর্ণ পয়েন্ট পেতে হবে আবাহনীকে; ১ পয়েন্ট পেলে যে খুব লাভ হবে, তা বলা যাবে না। তাতে ১৩ ম্যাচ শেষে শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে পয়েন্টের দূরত্ব ৪-ই থাকবে; বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ড্র করলে লাভ হবে নবাগত কিংসেরই। তবে লিগ রেসে নিজেদের অবস্থান ভালো রাখতে আজ জয়ের তীব্র আকাক্সক্ষা নিয়ে মাঠে নামবে দুই দলই। স্কাই-ব্লুদের জন্য অনুপ্রেরণা মাত্র তিন দিন আগে ঘরের মাঠে এএফসি কাপে ফিরতি ম্যাচে চেন্নাইন এফসির বিপক্ষে ৩-২ গোলের জয়; কিংসের আত্মবিশ্বাস প্রথম লেগে নীলফামারী স্টেডিয়ামে আবাহনীকে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করা। সময়স্রোতে পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়েছে। আজও যে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে কিংসÑ আগাম বলতে পারবে না; কিন্তু জয়ের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টার কথা বলতে পারবেন তারা।
লিগের ফিরতি পর্ব মাত্র শুরু হয়েছে। তবে আবাহনী-বসুন্ধরা কিংস ম্যাচটি লিগের অঘোষিত ফাইনালে রূপ নিয়ে নিয়েছে। দুই দলের কাছেই ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ। এ ম্যাচেই অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যাবে শিরোপা কোন পথে যেতে পারে। পয়েন্ট টেবিলে আবাহনী ও বসুন্ধরা কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে। ১৩ ম্যাচে ১২ জয়ে কিংসের পয়েন্ট ৩৭, ১১ জয়ে আবাহনীর (২ হার) ৩৩। ৪ পয়েন্ট ব্যবধান। কিংস ও শেখ রাসেলের (২-০) কাছে দুই হারে ৬ পয়েন্ট হারিয়ে পিছিয়ে পড়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। শিরোপা ধরে রাখার মিশনে তারা টেবিলে কিছুটা পিছিয়ে। ঠিক পেছনে শেখ রাসেল; আবাহনীর চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলা অলব্লুদের পয়েন্টও ৩৩। মহা দুশ্চিন্তায় আবাহনী, যেভাবেই হোক শিরোপা লড়াইয়ে ওপরের দিকে যেতে হবে। অন্যদিকে শেখ রাসেলে পিছু নিয়েছে। কিংসের কাছ আজ হেরে গেলে আবাহনীকে ছুঁয়ে ফেলবে শেখ রাসেল, শীর্ষে থাকা দলের সঙ্গে ব্যবধান হবে ৭ পয়েন্ট। শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা কমে যাবে। কিংস তখন নিজেদের বাকি ম্যাচগুলো জিতলেই আবির্ভাব মৌসুমে স্বাধীনতা কাপ তথা লিগ জিতবে; হবে ডাবল। ফলে কিংসের জন্যও ম্যাচটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
কিংসের লক্ষ্য একটাইÑ আবাহনীকে হারিয়ে নিজেদের কাজ সেরে রাখা, পেছনে থাকা শত্রু দূরে সরানো। ওদিকে কঠিন সমীকরণের সামনে দাঁড়ানো আবাহনীকে আজ অঘোষিত ফাইনাল জিততে হবে। এরপর কিংসের অমঙ্গল কামনা করতে হবে। এমন আশঙ্কা দেখছেন না কিংসের স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজেন। বলেন, ‘আমাদের অবস্থা আবাহনীর চেয়ে ভালো। এখন মাঠে প্রমাণ করতে পারলেই ট্রফি আমাদের হাতের মুঠোয়।’ চেন্নাইন-আবাহনীর খেলা মাঠে এসে দেখেছিলেন অস্কার। বলেন, ‘আবাহনী সম্পর্কে চেন্নাইন যতটা যানে তার চেয়েও বেশি জানি আমরা।’ চেন্নাইনের বিপক্ষে জেতা একাদশই মাঠে নামাতে চান আবাহনীর পর্তুগিজ মারিও লেমস। কিংসসে হারিয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার চেয়ে আবাহনীর সামনে এখন টিকে থাকার লড়াই, আত্মবিশ^াসী মারিও লেমস। চেন্নাইনের বিপক্ষে দুর্দান্ত ফুটবল খেলে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিয়েছে চোটে জর্জর আবাহনী।