আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ২০-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

লাভ-পুষ্টিতে অনন্য বিনা-৩ তিল

মুসাফির নজরুল, মাগুরা
| শেষ পাতা

সুস্বাদু, পুষ্টি সমৃদ্ধ, গন্ধহীন, অনুজ্জ্ব¡ল হলুদ রঙের ভোজ্যতেল হিসেবে ব্যবহারের জন্য অত্যন্ত উপযোগী বিনা-৩ জাতের তিল উদ্ভাবন করে দেশবাসীর জন্য সুসংবাদ নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। সম্পূর্ণ কলেস্টোরেলমুক্ত মানবদেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনী খনিজ পদার্থ ও ভিটামিন এডিই এবং কে সমৃদ্ধ এ তিলের তেল সরিষা-সয়াবিনের চেয়েও ভোজ্যতেল হিসেবে বেশি ব্যবহার উপযোগী। 

অন্যদিকে সাধারণ জাতের তিল চাষে যেখানে সময় লাগে ১৩০ দিন, সেখানে বিনা তিল-৩ মাত্র ৮৫ দিনে কৃষকের ঘরে ওঠে। বিনা তিল-৩ একরে ফলন হয় ২০ মণ; যা সাধারণ জাতের তিলের চেয়ে ফলন দ্বিগুণ। তাছাড়া এ তিলে চাষে রোগবালাই কম হয়। সেচ, সার কম লাগায় উৎপাদন খরচও কম। এ তিলে তেলের পরিমাণ প্রায় ৪৫ শতাংশ; যা সাধারণ জাতের সরিষা ও তিলের চেয়ে দেড়গুণ বেশি। একদিকে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ অন্যদিকে লাভজনক হওয়ায় এ তিলের চাষে যেমন কৃষক লাভবান হবেন, তেমনি এ তিল চাষ সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে পারলে ভোজ্যতেল আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে আনা সম্ভব হলে দেশ আর্থিকভাবে লাভবান হবে।

স্বল্প জীবনকালীন ও উচ্চফলনশীল বিনা তিল-৩ এর প্রচার ও সম্প্রসারণ উপলক্ষে শনিবার মাগুরা সদর উপজেলার নালিয়ারডাঙ্গী গ্রামে অনুষ্ঠিত কৃষক মাঠ দিবসে এ তথ্য জানান, বিনার বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তারা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সহযোগিতায় বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) মাগুরা উপকেন্দ্র এ মাঠ দিবসের আয়োজন করে। বিনা মাগুরা উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুশান চৌহানের সভাপতিত্বে মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বিনার মহাপরিচালক ড. বীরেশ কুমার গোস্বামী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিনার উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মির্জা মোফাজ্জেল ইসলাম, মাগুরা সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নুসরাত কবির, স্থানীয় আঠারখাদা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সনজীবন বিশ্বাস। বক্তব্য রাখেন স্থানীয় ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রকাশ পাল, বিনা কর্মকর্তা মুসফিকুর রহমান ও কৃষক আক্কাস খান। আলোচনা সভার আগে স্থানীয় কৃষক আওয়াল খানের বিনা-৩ তিল ক্ষেত পরিদর্শন করেন বিনা কর্মকর্মতারা।