আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ২৫-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

ত্বকের চিকিৎসায় কেমিক্যাল পিলিং

ডা. এসএম বখতিয়ার কামাল
| সুস্থ থাকুন

চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন, লেবু ও কমলায় সাইট্রিক এসিড, আপেলে ম্যালিক এসিড, দুধে ল্যাকটিক এসিড, আঙুরে টাইটারিক এসিড রয়েছে। এগুলো সবচেয়ে সক্রিয় উপাদান, যা ত্বকের জন্য উপকারী। এসব লাগানোর পদ্ধতি ও মাত্রা বিজ্ঞানীরা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে কম মাত্রার ব্যবহার কোনো উপকার করে না, আবার বেশি মাত্রার ব্যবহার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। ত্বকচর্চায় আমাদের দেশে অনেক মহিলা বিভিন্ন ফলমূল, খাদ্যশস্য ত্বকে ব্যবহার করেন। এগুলো স্বাভাবিক পদ্ধতি। এতে কদাচিৎ উপকার পাওয়া যায়। অনেক ক্ষেত্রে এতে আবার ত্বকের স্বাভাবিক সৌন্দর্যও নষ্ট হয়ে যায়। তবে এসবের সঠিক প্রয়োগবিধি মেনে উপকার পেতে হলে কেমিক্যাল পিলিং করতে হবে। ১৯৪০ সাল থেকে ব্যবহৃত  বৈজ্ঞানিকভাবে নির্ধারিত মাত্রায় প্রয়োগবিধি কেমিক্যাল পিলিং নামে পরিচিত। 

কেমিক্যাল পিলিংয়ের কিছু তথ্যÑ 
এটি শরীরের মৃত ও অসুস্থ ত্বককে ফেলে দেয়। এটি ব্যবহারে কোনো ক্ষেত্রে ব্যথাযুক্ত হালকা জ্বালাপোড়া করতে পারে সর্বোচ্চ ২ মিনিট। 
এতে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহৃত হয়। 
এটি প্রাচীন পদ্ধতির বৈজ্ঞানিক সংস্করণ, যা ৭০ বছর ধরে পৃথিবীতে এবং ১৫ বছর ধরে আমাদের দেশে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
এটি ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে এবং রঙ ফর্সাকারী হিসেবে কাজ করে। ব্রণ, মেসতা, তিল, দাগ ও বলিরেখা দূর করতে এ চিকিৎসার ব্যবহার হয়ে আসছে আদিকাল থেকেই। নির্দিষ্ট মাত্রার ব্যবহারে কোনো পার্শ¦প্রতিক্রিয়া নেই।
ভালো ফলের জন্য সূর্যের আলো থেকে দূরে থাকতে হবে। 
মনে রাখতে হবে, এ পদ্ধতিতে নিয়মিত চিকিৎসায় নিশ্চিত ফল পাওয়া যায়।

ডা. এসএম বখতিয়ার কামাল
সহকারী অধ্যাপক (চর্ম-যৌন-অ্যালার্জি)
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
কামাল স্কিন সেন্টার