আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ২৫-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

চট্টগ্রাম ইপিজেডে ভয়াবহ আগুন

চট্টগ্রাম ব্যুরো
| নগর মহানগর

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) একটি পোশাকের এক্সেসরিজ তৈরির ফ্যাক্টরিতে ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিটের ১৪টি গাড়ি কাজ করে রাত ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের আগুন পুরোপুরি নির্বাপণে শুক্রবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত সময় লাগে। সিইপিজেডের এক নম্বর সড়কে ইউনিটি এক্সেসরিজ নামে ওই কারখানার তৃতীয় তলায় আগুন লাগে বলে জানান ফায়ার সার্ভিস। ফ্যাক্টরিতে কর্মরত শ্রমিকরা জানান, আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পুরো ফ্যাক্টরিতে। ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রামে সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দীন বলেন, পোশাকের এক্সেসরিজ তৈরির কারখানার ভেতরে রাসায়নিক উপাদান ছিল। তাই আগুন নেভাতে আমাদের বেগ পেতে হয়েছে। একদিকে আগুন নেভানোর পর আরেকদিকে আগুন জ্বলে ওঠে। তিনি আরও বলেন, আগুন নেভাতে চারটি ইউনিটের ১৪টি গাড়ি কাজ করলেও রাত সাড়ে ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে পুরোপুরি নির্বাপণে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সময় লাগে। আগুন লাগার কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দীন।
বরিশালে অগ্নিকা-ে দুটি বসতঘর ভস্মীভূত : বরিশাল ব্যুরো জানায়, বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের রাকুদিয়া এলাকায় অগ্নিকা-ে দুটি বসতঘর পুড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাকুদিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় সংলগ্ন জমাদ্দার বাড়িতে ওই অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। এতে দুটি বসতঘর পুড়ে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়। জমাদ্দার বাড়ির আলাউদ্দিন জমাদ্দারের ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের কারণে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আলাউদ্দিন জমাদ্দারের ঘরে আগুন লাগার পর তা দ্রুত পার্শ্ববর্তী মুরাদ জমাদ্দারের ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা প্রথমে আগুন নেভাতে চেষ্টা করে। সংবাদ পেয়ে বাবুগঞ্জ এবং উজিরপুর উপজেলার দুটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট এসে দেড় ঘণ্টা চেষ্টা শেষে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। কিন্তু ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে যায় আলাউদ্দিন জমাদ্দার এবং মুরাদ জমাদ্দারের বসতঘর। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয় হানিফ জমাদ্দার ও হোসেন জোমাদ্দারের দুটি ঘর।