জ্যৈষ্ঠের প্রচ- তাপদাহে নাকাল হয়ে পড়েছে খুলনাঞ্চলের মানুষ। অন্যদিকে বিদ্যুৎ বিভ্রান্তি এখন চরমে। যদিও ওজোপাডিকো বলছে, খুলনায় বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি নেই। এদিকে গরমে প্রশান্তি পেতে মানুষ ছুটছেন ফ্যান কিংবা এসির দোকানে।
কয়েকদিন ধরে খুলনায় বৃষ্টি নেই। চলতি মাসে খুলনায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এমন তীব্র তাপদাহে মানুষের নাজেহাল অবস্থা। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। বিশেষ করে মাঝে মধ্যেই ইফতার, তারাবি ও সাহরির সময় লোডশেডিং রোজাদারদের চরম বিড়ম্বনায় ফেলছে।
ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোং লি. (ওজোপাডিকো) নির্বাহী পরিচালক (প্রকৌশল) আবুল হাসান তালুকদার জানান, খুলনায় প্রতিদিন ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়। এর পুরোটাই জাতীয় গ্রিড থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে। কোনো লোডশেডিং নেই। তবে যতটুকু বিদ্যুৎ বিভ্রাট রয়েছে তা লাইন মেইনটেনেন্সের জন্য। এদিকে গরমে একটু প্রশান্তি পেতে নগরবাসী ভিড় জমাচ্ছে ফ্যান ও এসির দোকানে। বর্তমানে ওইসব দোকানে ঈদের আমেজ বইছে। দোকানে অনেকে নিয়েছেন অতিরিক্ত বিক্রয়কর্মী। ফ্যানের দোকানগুলোতে দাঁড়ানোর ঠাঁই নেই। তবে মানুষের বেশি আগ্রহ চার্জার ফ্যানের দিকে। খুলনার হার্ডমেটাল গ্যালারি, এসএম রব মাকের্ট, শঙ্খ মার্কেট, দৌলতপুর মার্কেটসহ অনেক ইলেক্ট্রনিক্স, হার্ডওয়ারের দোকানিরা করছেন মৌসুমি ব্যবসা। নগরীর নামিদামি কোম্পানির শোরুমগুলোতে দেখা গেছে আরেক চিত্র।