আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ২৫-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

সবজি ও মুরগির দাম আরও কমেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
| শেষ পাতা

সপ্তাহের ব্যবধানে আরও নিম্নমুখী হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম। পরপর দুই সপ্তাহ ধরে কমেছে ব্রয়লার ও সবজির দাম। আগের দরেই বিক্রি হয়েছে মুদিসহ অন্য সব পণ্য।

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দুই সপ্তাহ আগেও ১৫৫-১৬০ টাকায় বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে ৫ থেকে ১০ টাকা, আর দুই সপ্তাহে কমেছে প্রায় ২০ টাকা। এ ছাড়া বাজারে লেয়ার মুরগির কেজি ১৮০-১৮৫ টাকা এবং প্রতিটি ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রামের পাকিস্তানি কক বিক্রি হয়েছে ২২০-২৩০ টাকায়, একই ওজনের দেশি মুরগি বিক্রি হয়েছে ৩৫০-৪০০ টাকায়। দাম কমে কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে ডিমের বাজার। প্রতি ডজন বিক্রি করছেন ৮৫-৯০ টাকায়, প্রতি হালি ৩০-৩২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এদিকে প্রতি কেজি ৫২৫ টাকা দাম বেধে দিলেও গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০, ৭৫০ টাকা বেধে দেওয়া খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকা পর্যন্ত। বেশির ভাগ দোকানেই ছিল না মূল্য তালিকা।

এদিকে সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে গরুর মাংস বিক্রির অপরাধে কয়েকজন বিক্রেতাকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। শুক্রবার মিরপুর এলাকায় রমজান উপলক্ষে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা অফিসের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার ম-ল।

তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন রমজান উপলক্ষে গরুর মাংসের দাম ৫২৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু অনেক প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত দামের চেয়ে ২৫-৫০ টাকা বেশি দামে মাংস বিক্রি করছে। অর্থাৎ ৫২৫ টাকার গরুর মাংস বিক্রি করছে ৫৫০-৫৭০ টাকায়। এ ছাড়া অনেকে আইন অনুযায়ী মূল্য তালিকা টানাননি। এসব অভিযোগে তিন মাংসের দোকানকে ১০ হাজার টাকা করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আগের মতোই, খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ মানভেদে বিক্রি করছেন ২৮ থেকে ৩০ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ২৪ টাকায়। আর পাইকারীতে দেশি পেঁয়াজের পাল্লা (পাঁচ কেজি) বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজের পাল্লা ৮৫-৯০ টাকা। তবে নতুন করে আবারও বেড়েছে রসুনের দাম। পরপর দুই সপ্তাহ দাম বেড়ে গেল সপ্তাহে  ১০০ টাকা কেজি দরের রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকায়।
এদিকে বাজারে সবজির দাম আরও কমেছে। বেগুন ছাড়া বেশির ভাগ সবজির দামই রয়েছে নিম্নমুখী। তবে গেল সপ্তাহে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হওয়া বেগুন বিক্রি হয়েছে ৪০-৪৫ টাকা। বাজার ভেদে পেঁপে বিক্রি হয়েছে ৫০-৬০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি পটল ও ঢ্যাঁড়স ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, করলা, বরবটি, কাঁকরোল, ধুনদুল ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়, ঝিঙা ও চিচিঙ্গা ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, কচুরলতি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, শসা ২৫ থেকে ৩০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, লেবু হালি মান ভেদে ২০ থেকে ৪০ টাকা। আগের মতোই চড়া দামে প্রতি  কেজি পেঁপে ৫০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে মুদিপণ্য। প্রতি কেজি চিনি ৫২-৫৫ টাকা, লবণ ৩০ থেকে ৩৫, প্রতি কেজি খোলা আটা ২৭ টাকা, প্যাকেট ৩২ টাকা, খোলা ময়দা ২৮ টাকা, প্যাকেট ৩২ টাকা। প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, খেসারি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, মসুর ডাল ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।