আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ২৫-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

হৃদরোগ উপশমে অর্জুনের ছাল

আলোকিত ডেস্ক
| শেষ পাতা

অর্জুন গাছের অনেক গুণ রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে আমরা অনেকেই এ গাছের গুণাবলি জানি না। এ অর্জুনের ছাল হৃদরোগ উপশমে ব্যবহৃত হয়। অর্জুনের ছাল ভালোভাবে পেষণ করে চিনি ও গরুর দুধের সঙ্গে প্রত্যহ সকালে খেলে হৃদরোগ এবং বুক ধড়ফড় কমে যায়। এছাড়াও রক্তে নিম্নচাপ থাকলে অর্জুনের ছালের রস সেবনে উপকার হয়। রক্তক্ষরণে ৫ থেকে ৬ গ্রাম ছাল রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেঁকে পানি খেলে আরোগ্য হয়। ক্ষয়কাশে অর্জুনের ছালের ?গুঁড়াবাসক পাতার রসে ভিজিয়ে ঘি-মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া হাঁপানিতে অর্জুন ফল টুকরো করে তামাকের মতো ধোঁয়া টানলে উপকার হয়। হার্নিয়াতে অর্জুন ফল কোমরে বেঁধে রাখলে উপকার পাওয়া যায়। কাঁচা পাতার রস সেবনে আমাশয় রোগ ভালো হয়।
হৃৎপি-ের দুর্বলতা ও সাধারণ দুর্বলতায় ৩ থেকে ৪ গ্রাম অর্জুনের ছাল চূর্ণ প্রত্যহ দুইবার এক গ্লাস পরিমাণ দুধসহ সেব্য। এক মাস নিয়মিত সেবন করে যাওয়া আবশ্যক। কাঁচা অর্জুনের ছাল ৫ গ্রাম পরিমাণ নিয়ে ভালোভাবে পিষে ঠান্ডা পানিসহ দিনে দুইবার খেলে রক্ত আমাশয়ে বিশেষ উপকারী। ৯, ২০ গ্রাম পরিমাণ আধাচূর্ণ অর্জুনের ছাল নিয়ে দুই কেজি পরিমাণ পানিতে ভিজিয়ে রেখে, পরবর্তী সময় জ্বাল করে নামিয়ে ছেঁকে নিয়ে সেব্য। উল্লিখিত নিয়মে দিনে ২ থেকে ৩ বার সেবন করে যাওয়া আবশ্যক। বিচূর্ণ ফল রক্তচাপ কমায়, মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে এবং লিভার সিরোসিস টনিক হিসেবে কাজ করে। বিচূর্ণ ফল রক্তচাপ কমায় মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে এবং লিভার সিরোসিস টনিক হিসেবে কাজ করে। এ ছাল মুখ, জিহ্বা ও মাড়ির প্রদাহের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, এটি মাড়ির রক্তপাত বন্ধ করে। এটি সংকোচন ও জ্বর রোধক হিসেবেও কাজ করে।
এছাড়া চর্ম ও যৌনরোগে অর্জুন ব্যবহৃত হয়। যৌন উদ্দীপনা বাড়াতে ও অর্জুনের ছালের রস সাহায্য করে। অর্জুন খাদ্য হজম ক্ষমতা বাড়ায়। খাদ্যতন্ত্রের ক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। সূত্র : ওয়েবসাইট