আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ২৭-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

ঝালকাঠিতে চাক জাল বিক্রি জমজমাট

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
| দেশ

চিকন সুতা ও বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চাকার মতো দেখতে মাছ ধরার এক ধরনের ফাঁদের নাম চাক জাল। এটা অনেকটা ‘বুচনা’ চাইয়ের মতো। স্থানীয়দের কাছে এটি টোনা জাল নামে পরিচিত। ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার বাগড়ি হাট প্রতি সপ্তাহের রবি ও বৃহস্পতিবার বসে। এ দুই দিন বাগড়ি হাঁটসংলগ্ন মঠবাড়ি ইউপি ভূমি অফিসের সামনে চাক জাল বিক্রি জমজমাট হয়ে ওঠে। 
চাক জালের কারিগরদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগে বর্ষাকালে ধানক্ষেত ও নালায় বাঁশের তৈরি চাঁই পেতে মাছ ধরা হতো। এক দশক ধরে উপকূলীয় এলাকায় বাঁশের দাম চড়া হয়ে চাঁই উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। রয়েছে বাঁশের সংকটও। চাক জাল তৈরিতে খরচ কম, জাল তৈরির কাঁচামাল সুতা ও বাঁশের কঞ্চি সহজে পাওয়া যায়। তাই চাঁইয়ের বিকল্প চাক জাল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কয়েকশ’ পরিবার বর্ষা মৌসুমে চাক জাল তৈরি করে বাড়তি আয় করছে। অবসর সময়ে নারী ও পুরুষরা ঘরে বসে চাক জাল তৈরি করেন। একজন প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি জাল তৈরি করতে পারেন। পোনাবলিয়া গ্রামের দুলাল মুনশি জানান, প্রতিদিন তারা কৃষিকাজের অবসরে চাক জাল তৈরি করেন। ঘরে বসে নারীরাও চাক জাল তৈরি করেন। ঝালকাঠি শহরের টাউন হলের সামনে প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার জাল নিয়ে যান তিনি। বড় চাক জাল ৪০০ থেকে ৫০০ এবং ছোট চাক জাল ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হয়। খরচ বাদে প্রতিটিতে ৮০ থেকে ১০০ টাকা লাভ থাকে। চাক জালের আরেক কারিগর শাহাদাত হোসেন বলেন, বাঁশের তৈরি চাঁইয়ের ব্যবহার কমে যাওয়ায় জেলেরা চাক জালের দিকে ঝুঁকেছেন। জাল কিনতে আসা জেলে কামাল হোসেন বলেন, চাক জাল দিয়ে শুধু চিংড়ি মাছ ধরা হয়। বর্ষা মৌসুমে ধানক্ষেতে ও ছোট নালায় প্রচুর চিংড়ি মাছ পাওয়া যায়। চিংড়ি মাছ ধরার জন্য চাক জালের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।