বান্দরবান পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার ও পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চথোয়াইমং মারমাকে অপহরণের পর হত্যার প্রতিবাদে এবং হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে জেলা আওয়ামী লীগের ডাকে রোববার অর্ধ দিবসের হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। হরতাল চলাকালে বান্দরবান থেকে দূরপাল্লার কোনো গাড়ি ছেড়ে যায়নি। দোকানপাটও ছিল সম্পূর্ণ বন্ধ। এতে সাধারণ যাত্রীরা চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহালেও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। হরতাল চলাকালে সকাল থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন মোড় ও অলিগলিতে পিকেটিং করেন। তারা শহরে খ- খ- মিছিলও করেছেন।
বান্দরবানের বাসস্টেশন, রোয়াংছড়ি বাসস্টেশন, থানচি ও রুমা বাস স্টেশনসহ বাজারের বিভিন্ন দোকান ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। বেলা ১২টায় হরতাল শেষ হয়। হরতাল শেষে মুক্ত মঞ্চের সামনে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শফিকুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক মো. ইসলাম বেবী, যুগ্ম সম্পাদক লক্ষপদ দাশ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রসঙ্গত, ২২ মে বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বান্দরবান পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার ও পৌর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি চথোয়াইমং মারমাকে বালাঘাটার চড়ুইপাড়া এলাকা থেকে অস্ত্রের মুখে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে শনিবার দুপুরে জর্ডানপাড়া থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া গেল ৭ মে সন্ত্রাসীরা জনসংহতি সমিতির কর্মী বিনয় তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করে। অপহরণ করা হয় ফোলাধন তঞ্চঙ্গ্যা নামের অপর কর্মীকে। এখনও তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। গেল ৯ মে সন্ত্রাসীরা জনসংহতি সমিতির সমর্থক জয়মনি তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করে। ১৯ মে বান্দরবানের রাজবিলায় আওয়ামী লীগের সমর্থক ক্য চিং থোয়াই মারমাকে অপহরণের পর গুলিতে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।