logo
প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, শনিবার, মার্চ ১২, ২০১৬
বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সম্ভাবনা
প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলেই অস্ত্র রফতানি
সজীব হোমরায়

সমরাস্ত্র কারখানায় উৎপাদিত প্রয়োজনের অতিরিক্ত অস্ত্র ও গোলাবারুদ বিদেশে রফতানি করতে চায় বাংলাদেশ। এরই মধ্যে একাধিক দেশের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চূড়ান্ত করেছে সরকার। তবে সবকিছু নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের ওপর। তিনি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত দিলেই শুরু হবে অস্ত্র-গোলাবারুদ রফতানি। 
সূত্র জানায়, জাতিসংঘ কনভেনশন অনুযায়ী প্রচলিত অস্ত্র-গোলাবারুদ রফতানিতে কোনো দেশের জন্যই বাধা নেই। যে কোনো দেশই এটা করতে পারে। তবে যে দেশের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সে দেশে রফতানি করা যাবে না। এছাড়া গোপনীয় কোনো অস্ত্র রফতানি করতেও বিধি-নিষেধ রয়েছে; কিন্তু বাংলাদেশ যেসব অস্ত্র-গোলাবারুদ রফতানি করতে চায়, সেগুলো প্রচলিত। ফলে এক্ষেত্রে আইনি বাধা নেই। বাংলাদেশ রফতানি করতে চায় বন্দুক, রিভলবার, গুলি ও ক্ষুদ্রাস্ত্র। এগুলোর প্রতিটিই প্রচলিত অস্ত্র। জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা নেই এমন যে কোনো দেশে সরকার টু সরকার (জি-টু-জি) ভিত্তিতে এসব অস্ত্র রফতানি করতে বিধি-নিষেধ নেই। তাছাড়া উন্নয়নশীল দেশগুলো অভ্যন্তরীণভাবে প্রয়োজন মেটাতে প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণ অস্ত্র আমদানি করে। এতে উন্নত বিশ্বের কয়েকটি দেশ প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে। এখানে বাংলাদেশ তাদের নতুন রফতানি বাজার ধরতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এরই মধ্যে একাধিক দেশের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনাও করা হয়েছে। নেয়া হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি। শুধু প্রধানমন্ত্রীর সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষায় রয়েছে সমরাস্ত্র কারখানা ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে এরই মধ্যে বিদেশে রফতানি অস্ত্রের বৈদেশিক মুদ্রা বাজেট খাতে জমা করার জন্য একটি নতুন কোড সৃষ্টির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, অস্ত্র রফতানির আগে বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানায় উৎপাদিত অস্ত্র ও গোলাবারুদ বিদেশে রফতানির প্রয়োজনীয়তা, পলিটিক্যাল প্রভাব ও জি-টু-জি বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। পাশাপাশি রফতানি করলে আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবসার ক্ষেত্রে দেশের কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আছে কিনা তাও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। অস্ত্র রফতানি করলে কি পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আসবে তাও যাচাই করতে চায় সরকার। তাই এ বিষয়ে চূড়ান্ত হিসাব-নিকাশের প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়া অস্ত্রের বিষয়টি অনুমোদনের জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়েই অস্ত্র রফতানির ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিকে ৫ জানুয়ারি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে বলা হয়, পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সমরাস্ত্র কারখানার উৎপাদিত অস্ত্র-গোলাবারুদ দেশের অভ্যন্তরের চাহিদা মেটানোর পর বিদেশে রফতানি করা যেতে পারে। তবে এ বিষয়ে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ব্যবসায়িকভাবে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে। তাই এ প্রস্তাবকে আরও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করার দাবি জানিয়েছে পুলিশ বিভাগ।

সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected]