
প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, শনিবার, মার্চ ১২, ২০১৬ | |
সামুদ্রিক কচ্ছপের জীবন প্রণালি ও বিচরণসহ নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছেন গবেষকরা। এসব কচ্ছপ রক্ষার লক্ষ্যেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য এদের গায়ে বসানো হয়েছে স্যাটেলাইট। এটা কচ্ছপের বিচরণ ক্ষেত্র, খাদ্য ও জীবন প্রণালি সম্পর্কে নানা তথ্য দেবে।
জানা গেছে, প্রজনন মৌসুমে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ডিম পাড়তে এসে মারা পড়ছে অসংখ্য কচ্ছপ। এভাবে মারা পড়তে থাকলে একসময় এ প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা গবেষকদের। এ কারণে তারা এ প্রাণীকে উপকূলে হিংস্র প্রাণীর থাবা থেকে রক্ষা করতে চান। এজন্য বেড়া দিয়ে ঘিরে তারা তৈরি করেছেন কচ্ছপ সংরক্ষণাগার। এখানে বেশ কয়েকটি কচ্ছপের পরিচর্যা করছেন তারা। আর অনন্য এ কাজ করছেন ‘মেরিন লাইফ অ্যালায়েন্স’ নামক একটি বেসরকারি সংস্থার স্বেচ্ছাসেবকরা। সম্প্রতি ইনানী সমুদ্রসৈকতে ৫৬ কেজি ওজনের একটি জলপাই রঙের ‘অলিভ রিডলে’ প্রজাতির মা কচ্ছপের গায়ে একটি স্যাটেলাইট স্থাপন করা হয়। এটি গভীর সাগর থেকে ডিম পাড়তে তীরে এসেছিল। গভীর রাত পর্যন্ত একটি গর্ত খুঁড়ে ১১০টি ডিমও দেয় এটি। ডিমগুলো হ্যাচারিতে বাচ্চা ফোটানোর জন্য পরিবেশ কর্মীরা সংরক্ষণ করেন। পরে কচ্ছপটির পিঠে স্যাটেলাইট স্থাপন করে সাগরে ছেড়ে দেন মেরিন লাইফ অ্যালায়েন্সের কর্মীরা। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ও গবেষক জহিরুল ইসলাম জুয়েল জানান, বাংলাদেশে সামুদ্রিক কচ্ছপের গতিবিধি লক্ষ্য করার জন্য কচ্ছপের পিঠে স্যাটেলাইট স্থাপন করা হয়। এটা হলো এ পর্যন্ত উদ্ভাবিত সর্বাধুনিক প্রযুক্তি; যা দিয়ে সারা বিশ্বে পোকামাকড় থেকে শুরু করে বৃহৎ জলচর ও স্থলচর প্রাণীর গতিবিধি লক্ষ্য করার কৌশল জানা যাবে। মেরিন লাইফ অ্যালায়েন্স চলতি বছর আরও চারটি কচ্ছপের পিঠে এ স্যাটেলাইট বসাবে। গবেষক জহিরুল ইসলাম জানান, স্যাটেলাইট বহনকারী কচ্ছপটি এরই মধ্যে এর ভ্রমণপথ জানাতে শুরু করেছে। উচ্চ তরঙ্গের সঙ্কেতের মাধ্যমে তথ্য জানা যাচ্ছে। কচ্ছপটি সমুদ্রের পানিতে ভেসে ওঠামাত্রই স্যাটেলাইটটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে এর অবস্থান সম্পর্কিত সঙ্কেত পাঠাচ্ছে। পৃথিবীর যে প্রান্তেই কচ্ছপটি ভ্রমণ করবে, তা ধরা পড়বে স্যাটেলাইটে এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে তা মেরিন লাইফ অ্যালায়েন্সের গবেষকদের জানিয়ে দেবে।
স্থানীয় কচ্ছপ পরিচর্যাকারী আবদুর রহমান বলেন, মহৎ একটি উদ্যোগ দেখার সুযোগ পেলাম। এজন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের যেমন ধন্যবাদ জানাতে হয়, তেমনি কচ্ছপটিকে নিয়ে মনে আতঙ্ক জাগছে। কারণ ইদানীং সাগরে পুঁতে রাখা মাছ ধরার জালে আটকা পড়ে যে হারে ডিম পাড়তে আসা মা কচ্ছপ মারা যাচ্ছে, তাতে কচ্ছপটি কত দিন বাঁচতে পারবে, তা আল্লাহ জানেন।
উল্লেখ্য, ২০১০ সাল থেকে সমুদ্র উপকূলে বাসন্তি, জলপরি, পায়েল, সাগরকন্যা ও ঊর্মিসহ বেশ কিছু কচ্ছপের গায়ে স্যাটেলাইট স্থাপন করে মেরিন লাইফ অ্যালায়েন্স।
![]() সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected] |