logo
প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, বুধবার, মে ১, ২০১৯
সাড়ে ৩ লাখ টাকা করমুক্ত আয়সীমা চায় এফবিসিসিআই
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ করার প্রস্তাব দিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। একই সঙ্গে সব কোম্পানির ক্ষেত্রে করপোরেট কর হার আড়াই শতাংশ কমানোর দাবি করেছে সংগঠনটি। মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শক কমিটির ৪০তম সভায় এসব প্রস্তাব দেয় এফবিসিসিআই। বাজেটকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও এফবিসিসিআই যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে। এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার

সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এতে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষে বিভিন্ন প্রস্তাবনা তুলে ধরেন সংগঠনটির সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেড়েছে। চার বছর ধরে ব্যক্তি করমুক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ টাকা রয়েছে। এটি রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই। তাই এটি বাড়িয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা করা হোক। নারী ও ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকায় উন্নীতকরণ ও প্রতিবন্ধী করদাতাদের করমুক্ত আয়ের সীমা ৪ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করা হোক।
প্রস্তাবনায় শফিউল ইসলাম সব কোম্পানির ক্ষেত্রে করপোরেট কর আড়াই শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, পুঁঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট কর ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ২২ শতাংশ, তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির কর ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ ও নন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির ক্ষেত্রে সাড়ে ৩২ শতাংশ করার প্রস্তাব দেন তিনি। 
এছাড়াও, মার্চেন্ট ব্যাংকের করপোরেট কর সাড়ে ৩৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে, পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ও তালিকাবহির্ভূত ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করপোরেট কর অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত নয় এমন বিদেশি কোম্পানির প্রত্যাবসনযোগ্য মুনাফার ওপর করপোরেট কর ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। গত অর্থবছরের বাজেটে শুধু ব্যাংক ও আর্থিক খাতে করপোরেট ট্যাক্স ২.৫ শতাংশ কমানো হয়েছিল। এটি এবার সব খাতে কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন ভ্যাট আইনের ক্ষেত্রে ১০টি প্রস্তাব দিয়েছে ব্যবসায়ীদের এ শীর্ষ সংগঠন। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী ভ্যাটের হার ৫, ৭.৫ ও ১০ শতাংশ নির্ধারণ, ভ্যাট অব্যাহতির সীমা ৩৬ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ লাখ টাকায় উন্নীত করা, টার্নওভার করের সীমা ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত ৪ শতাংশ ভ্যাটসহ অন্যান্য সিদ্ধান্ত দেন। এফবিসিসিআই সরকারের এ প্রস্তাবকে মেনে নিয়েছে। তবে টার্নওভার কর ৪ শতাংশের পরিবর্তে ৩ শতাংশ করা উচিত বলে মনে করে সংগঠনটি। অন্যদিকে একাধিক হারে ভ্যাট নির্ধারণ করলেও রেয়াতের বিষয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে দাবি করে ১৫ শতাংশের মতো ১০ শতাংশ হারেও রেয়াত দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে তারা। 
নতুবা তা এক্সাইজ ট্যাক্স হিসেবে বিবেচিত হবে বলে মনে করে শীর্ষ এই সংগঠন। আর প্যাকেজ ভ্যাটের পরিবর্তে ক্ষুদ্র, গ্রামীণ উদ্যোগ ও কুটির শিল্প খাতের জন্য টার্নওভার করের আওতায় সব পর্যায়ে অব্যাহতির সীমা বাৎসরিক ৩৬ লাখ টাকার পরিবর্তে ৫০ লাখ টাকায় উন্নীত করার সুপারিশ করেছে এফবিসিসিআই। সভায় অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, এফবিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected]