প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, বুধবার, মে ১, ২০১৯ | |
চৌহালীর যমুনা নদীর চরাঞ্চলের হাজারো মানুষ এখন নেপিয়ার ঘাস চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। অথচ কয়েক মাস আগেও যমুনার বিশাল চরাঞ্চলে ছিল বিশাল বিস্তৃত কাশবন। তখন গো-খাদ্যের জন্য চরবাসীকে ভাবতে হয়নি। কিন্তু চরে এখন আর আগের মতো কাশবন নেই। নদী ভাঙ্গা গৃহহারা চরবাসীর গবাদিপশুই একমাত্র সম্পদ। সেখানে এখন বিস্তৃত চরভূমিতে চাষ হচ্ছে নেপিয়ার ঘাস। ধু-ধু বালুচরের বুক এখন ছেয়ে আছে সবুজ নেপিয়ার ঘাসে। গো-খাদ্য হিসেবে নেপিয়ার ঘাস চাষ করে দুর্গম চরের প্রায় ১ হাজার ভূমিহীন চরবাসী গবাদিপশুর খাদ্যের সংকট দূর করার সঙ্গে সঙ্গে ঘাসের বাণিজ্যিক ব্যবহার করে এখন নিজেদের অভাব মোচনেও সক্ষম হয়েছে। এছাড়া নেপিয়ার ঘাস চাষ করে গো-সম্পদ রক্ষা করছে চরবাসীরা।
চৌহালীর সাতটি ইউনিয়নের যমুনা নদীর দুর্গম চরে ২ লাখ মানুষের বসবাস। নদীভাঙ্গা সর্বস্বহারা এ বিপুল সংখক মানুষ এ চর থেকে সে চর ঘুরে বেড়ায়। গবাদিপশুই তাদের একমাত্র সম্পদ। কিন্তু কাশবনের বিলুপ্তির পর পশুসম্পদ অধিদপ্তর চরে চরে নেপিয়ার ঘাস চাষের জন্য পরামর্শ দিয়েছে চরবাসীকে। প্রভাবশালীদের দখল করা চরের জমি লিজ নিয়ে ভূমিহীনরা এখন অন্য ফসলের পাশাপাশি চাষ করছে নেপিয়ার ঘাস। সোদিয়াচাঁদপুর, ঘোরজান, খাসপুকুরিয়া, সহল, খাসকাউলিয়াসহ সাতটি ইউনিয়নের দুর্গম চরে উৎপাদিত নেপিয়ার ঘাস চরের গবাদি পশুর চাহিদা মিটিয়েও বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে।
নদীর ঘাটে ও সদরে বসেছে নেপিয়ার ঘাসের হাট। এ ঘাস বিক্রি করে চৌহালীর সহল চরের কাশেম আলী, সোদিয়াচাঁদপুরের আবদুল ম-ল ও খাসপুকুরিয়ার আবদুল লতিফসহ অন্তত ১ হাজার চরজীবী মানুষ ফিরে পেয়েছে আর্থিক সচ্ছলতা। চৌহালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জেরিন আহমেদ জানান, চৌহালী উপজেলার চরাঞ্চলে প্রায় ১৫ হেক্টর জমিতে ঘাসের চাষ করছেন কৃষকরা।
সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected] |