logo
প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, বুধবার, মে ১, ২০১৯
শিক্ষার্থীদের দাবি পর্যালোচনা
ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের সভা

ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবি পর্যালোচনা, বিশ^বিদ্যালয়ের কাজের বিকেন্দ্রীকরণ, শিক্ষার্থীদের সেশনজট নিরসন ও সার্বিক শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে রোববার এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপাচার্য অফিসসংলগ্ন সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রোভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন ও অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আজিজ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, সাত কলেজের অধ্যক্ষ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। 
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেসব শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে অধিভুক্ত হয়েছে, তাদের বিষয় বিবেচনায় রেখে সভায় সাত কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ সময় যেসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, সেগুলো হলোÑ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমের যে কোনো সমস্যা নিজ নিজ কলেজের অধ্যক্ষের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তি হবে। অধ্যক্ষরা শিক্ষার্থীদের যে কোনো আবেদনের বিষয়ে তথ্যউপাত্ত যাচাই করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত ডেস্কে (ডেডিকেটেড ডেস্ক) প্রেরণ করবেন। পরীক্ষা/ভর্তি/ ফল/ রেজিস্ট্রেশন প্রভৃতি সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ কলেজের অধ্যক্ষ/কলেজ অফিস থেকে জানতে পারবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে অধ্যক্ষ/কলেজ অফিস বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত কলেজের ডেডিকেটেড ডেস্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডেপুটি রেজিস্ট্রারের সঙ্গে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করবেন। কোন শিক্ষার্থীর কোন তথ্যের জন্যে/দরখাস্ত দেয়ার জন্য সময় ও শ্রম নষ্ট করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন অফিসে আসতে হবে না। 
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে সব শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে অধিভুক্ত হয়েছে, তাদের ভোগান্তি লাঘব ও সেশনজট নিরসনকল্পে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে বিশেষ পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। নম্বর স্থগিত ও সর্বোচ্চ দুই বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থীরা শর্তসাপেক্ষে পরবর্তী শ্রেণিতে (প্রিলিমিনারি/ মাস্টার্স শেষ পর্ব) ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে। তবে সংশ্লিষ্ট শ্রেণির চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আগে পূর্ববর্তী শ্রেণির অকৃতকার্য বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। যেসব শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, তাদেরও বিশেষ বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে। পরীক্ষার ফল দ্রুত প্রকাশের সুবিধার্থে অন্যান্য অধিভুক্ত ও উপাদানকল্প প্রতিষ্ঠানের ন্যায় পরীক্ষা কেন্দ্র থেকেই সংশ্লিষ্ট পরীক্ষকগণ উত্তরপত্র সংগ্রহ করবেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে নম্বর পরীক্ষা কমিটির সভাপতি/ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের নিকট জমা দেবেন। উত্তরপত্র নিজ নিজ কলেজে নিজ দায়িত্বে সংরক্ষণ করবেন। 
একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়নের লক্ষ্যে সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করবেন। সাত কার্যদিবসের মধ্যে একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন করতে কমিটিকে অনুরোধ জানানো হয়। মৌখিক পরীক্ষা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রতি কলেজের জন্য একটি করে ভাইভা-বোর্ড গঠন করা হবে। একইভাবে ব্যবহারিক পরীক্ষাও বিকেন্দ্রীকরণ নীতিতে গৃহীত হবে। এক বছরের মধ্যে পরীক্ষক/বিভাগীয় প্রধান সব পরীক্ষার নম্বর অনলাইনে বিশ^বিদ্যালয়ে প্রেরণ করবেন। অতঃপর উত্তরপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ওএমআর পদ্ধতি ব্যবহারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি 

সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected]