‘বিদ্যুতের গ্রাহক না হলেও বিলের জন্য হাজতবাস’ শিরোনামে বিভিন্ন পত্রিকায় ২৪ মে প্রকাশিত সংবাদটি বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের দৃষ্টিগোচর হয়। তবে এ সংবাদে জনমনে কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে বিধায় তিনি সংবাদের প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরেছেন নিম্নরূপ : 

ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ কর্তৃক প্রকৃত বকেয়াধারী গ্রাহক মো. জামাল উদ্দীন (জালাল), পিতা মোসলেম উদ্দিন, গ্রাম : কাইচান, পোঃ বিরুনীয়া, ভালুকা, ময়মনসিংহের নামে বিদ্যুৎ আইনে স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। তৎপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট আদালত আসামির নামে ওয়ারেন্ট ইস্যু করে ভালুকা মডেল থানায় পাঠান। পরে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ প্রকৃত আসামি মো. জামাল উদ্দিনের (জালাল) পরিবর্তে মো. জালাল উদ্দিন, পিতা মোসলেম উদ্দিন, গ্রাম : বিরুনীয়া, ভালুকা, ময়মনসিংহকে গেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায়। গেপ্তারকৃত জালাল উদ্দিন তিন দিন হাজতবাস করে জামিনে মুক্তি পান। মামলার প্রকৃত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার না করে অন্য ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করায় জনমনে কিছুটা বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় জালাল উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং সমবেদনা জানান এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানও জালাল উদ্দিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে তাকে সান্ত¡না দেন এবং দুঃখ প্রকাশ করেন। এছাড়া বিনা অপরাধে হাজতবাসী জালাল উদ্দিনের বাড়িসহ তার গ্রামের প্রায় ২৫টি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগও প্রদান করা হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি