
প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, শুক্রবার, মে ৩, ২০১৯ | |
‘আমাদের নারী ফুটবলাররা কখনও কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠতে পারেনি; ২০১৭ ও ২০১৯ সালের এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত পর্বে উঠেছে। এটাই আমাদের প্রথম ফাইনাল, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ভালো সুযোগও। মেয়েরাও যথেষ্ট উজ্জীবিত’ গতকাল বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ নারী আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপের ফাইনালপূর্ব গণমাধ্যম পর্বে জানান লাওসের কোচ বং মি
মিসাই। তবে আসিয়ান কিশোরদের পথে কাটা স্বাগতিকরা, শক্ত চ্যালেঞ্জই; লাল-সবুজ অধিনায়ক মিশরাত জাহান মৌসুমী তো বলেই দিলেন, ‘ঘরের মাঠ, প্রধানমন্ত্রীর মায়ের নামে টুর্নামেন্ট, আমরা রোমাঞ্চিত। স্মরণীয় করে রাখতে ট্রফিটা প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে চাই।’ দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া অন্যরকম অনুভূতিÑ সেটাও জানান। স্বপ্ন পূরণে খেলতে চান ‘একটা পরিবার হয়ে’। তার মূল কথা, প্রথম লক্ষ্য ছিল ফাইনাল, সেটা পূরণ হয়েছে, এখন চোখ ট্রফিতে।
২০১৫ সালে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে ফাইনালে মালয়েশিয়ার কাছে ৩-২ গোলে হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে এ ধরনের বড় পরিসরের আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে শিরোপা জেতা হয়ে ওঠেনি লাল-সবুজ পুরুষ ফুটবলারদের, সুযোগটা পেয়েছে মেয়েরা। কাজে লাগাতে শতভাগ উজাড় করে দিতে মরিয়া মৌসুমী, সানজিদা, মনিকা, মারিয়া, আঁখি, নার্গিস, শিউলি, রুপনারা। কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের কথা, ‘যেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, শতভাগ পালন করেছে মেয়েরা। তাদের প্রতি আমার যথেষ্ট আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে, প্রথমবার এ ধরনের বড় আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছে, নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে মৌসুমীরা শিরোপা জিতে টুর্নামেন্ট স্মরণীয় করে রাখবে। আমরা মনে করি, এখান থেকেই মেয়েদের ফুটবল আরও অনেকদূর এগিয়ে যাবে।’
কিন্তু চ্যালেঞ্জের নাম লাওস; স্পষ্ট করে বললে তিন কিশোরী পে ফমফাকদি, সেইসামোন ও আফাতসালা; গ্রুপ পর্ব (১২) ও সেমিফাইনাল মিলিয়ে ১৯ গোল করেছে আসিয়ান কিশোরীরা। ১৭ গোলই করেছেন তারা; পে’ই করেছেন ৮টি। তাদের নিয়ে রণকৌশলে যে ভিন্ন পরিকল্পনা আছেÑ জানাতে কুন্ঠাবোধ করেননি কোচ। নিজেদের স্বাভাবিক ফুটবল খেলেই ম্যাচটা জিতে নিতে চায় বাংলাদেশ। কোচ ছোটন মানছেন, ‘ম্যাচটা সহজ হবে না, আগের ম্যাচগুলো থেকে অবশ্যই এই ম্যাচটা কঠিন হবে। তাদের বেশ ক’জন ভালো ফুটবলার আছে। তবে আমাদের মেয়েরা এ ধরনের ম্যাচ আগেও অনেক খেলেছে; এএফসির টুর্নামেন্টে চীনা তাইপে, ভিয়েতনাম, সর্বশেষ মিয়ানমারের বিপক্ষে এমন ম্যাচ খেলে এ মেয়েরাই জিতেছে। আশা করছি, ফাইনালেও মানিয়ে নিতে পারবে। মেয়েরা আগের ম্যাচগুলোয় একটা দল হয়ে খেলেছে। আমরা স্বাভাবিক খেলার মধ্যেই থাকব। তবে কিছু নিদিষ্ট পরিকল্পনা তো থাকবেই।’
ছোটনের মুখে হাসির আভা, চোট কাটিয়ে স্কোয়াডে ফিরছেন কৃষ্ণা রানী। যে কোনো সময় ম্যাচে দেখা যেতে পারে তাকে। তবে আরেক ফুটবলার স্বপ্নার ইনজুরি না সারাতে ফাইনালে থাকতে পারছেন না।
স্বাগতিক কোচ ছোটনের আস্থা শিষ্যদের ওপর, ‘মেয়েরা তিন ম্যাচেই ৯০ মিনিট এক ছন্দে খেলেছে, ফিনিশিংয়ে ক্রমেই তারা উন্নতি করছে। আমি বলব সেমিফাইনালে মনিকার দেওয়া গোলটি ছিল বেস্ট ফিনিশিং।’ কোচের চোখে লাওস সব দিকেই ভালো। কিন্তু আমাদের ঘরের মাঠে ফাইনাল। আগেও এমন হাইভোল্টেজ ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থাকায় নিজের দলকে এগিয়ে রাখছেন কোচ। বলেন, এতো দিন যাদের সঙ্গে ম্যাচ হয়েছে আমাদের চেয়ে তারা কিছুটা পিছিয়ে ছিল। এবার লড়াইটা হবে সমানে সমান। আমাদের মারিয়া-মনিকার নৈপুণ্য হয়তো সব ম্যাচে সমান সমান হয় না। যেদিন দুজনের নৈপুণ্য শতভাগ হয় সেদিন আর ম্যাচ নিয়ে ভাবতে হয় না।’ কোচ ছোটন দর্শকদের ধন্যবাদ জানিয়ে আবারও বাংলাদেশকে উৎসাহ জোগাতে গ্যালারিতে আসার আহ্বান জানান।
লাওস কোচ বং মি সাই ফাইনালকে দেখছেন ফিফটি ফিফটি। টুর্নামেন্টে গোল কম পাওয়ায় স্বাগতিক দলের ফিনিশিং দুর্বলতা আলোচনায় আসলেও ফাইনাল ম্যাচে রক্ষণ নিয়েও ভাবতে হচ্ছে। লাওস ৩ ম্যাচে করেছে ১৯ গোল, বাংলাদেশ করেছে মাত্র ৭টি, তাদের দ্রুতগতির ফুটবলই বলে দিচ্ছে রক্ষণ সামলাতে না পারলে বিপদ হবে স্বাগতিকদের।
![]() সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected] |