logo
প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, শুক্রবার, মে ৩, ২০১৯
ভুবনেশ্বর ও কলকাতার সব ফ্লাইট বাতিল
সরিয়ে নেওয়া হয়েছে পুরির ১০ লাখ বাসিন্দাকে
কলকাতা প্রতিনিধি

শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে ফণী। ভারতের উড়িষ্যা উপকূল থেকে কয়েকশ’ কিলোমিটার দূরে বর্তমানে ঝড়টি অবস্থান করছে। অত্যন্ত দ্রুতগতিতে তা এগিয়ে আসছে স্থলভাগের দিকে। উড়িষ্যার গোপালপুর ও চাঁদবালি এলাকা দিয়ে ঝড়টি বয়ে যাবে। তারপর সেটি উড়িষ্যার পুরি হয়ে প্রবেশ করবে পশ্চিমবাংলায়। শুক্রবার দুপুরের মধ্যেই ঝড়টি উড়িষ্যায় আছড়ে পড়বে বলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন। তখন ঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ২০০ থেকে ২০৫ কিলোমিটার। তবে স্থলভাগে প্রবেশের পর ঝড়টি ক্রমেই দুর্বল হয়ে পশ্চিমবাংলায় প্রবেশ করবে। সে সময় ঝড়ের ন্যূনতম গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১১৫ কিলোমিটার। ফণীর কারণে উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকা থেকে পর্যটকদের সরে আসার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ভারতের পূর্ব উপকূলীয় এলাকার ১০৩টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বাতিল হওয়া ট্রেনগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ করম-ল এক্সপ্রেস, পাটনা-এরানাকুলাম এক্সপ্রেস, নয়াদিল্লি-ভুবনেশ্বর রাজধানী এক্সপ্রেস, হাওড়া-হায়দারাবাদ ইস্ট কোস্ট এক্সপ্রেস, ভুবনেশ্বর-রামেশ্বরম এক্সপ্রেস। এছাড়া দুটি ট্রেনকে অন্য রুটে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। উড়িষ্যা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় জারি করা হয়েছে কমলা (সর্বোচ্চ) সতর্কতা। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উড়িষ্যার ১৯টি জেলাসহ অন্ধ্রপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী বেশ কয়েকটি জেলায় আঘাত হানতে পারে ফণী। বুধবার মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়টি পুরি থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে সাগরে অবস্থান করছিল। সেটি ক্রমেই উত্তর দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এরই মধ্যে পর্যটকদের পুরি ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে উড়িষ্যা প্রশাসন। পুরি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ১০ লাখ লোককে। ঝড়ের প্রভাবে উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গে ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। ফণীর প্রভাবে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজের কথা মাথায় রেখে তৈরি রাখা হয়েছে ভারতীয় নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনীকে। প্রস্তুত রয়েছে ভারতের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। 
অন্যদিকে, ফণীর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী দীঘা, শংকরপুর, তাজপুর ও মন্দারমনিতে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় চলে মাইকিং। সেই সঙ্গে সমুদ্রে নামার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এদিন পশ্চিমবঙ্গে আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন; সমুদ্র ফুঁসতে শুরু করে। ওয়াচটাওয়ার থেকে উপকূলে কড়া নজরদারি চালায় প্রশাসন। শংকরপুর, তাজপুর, মন্দারমনি প্রায় পর্যটকশূন্য। উপকূলে রেসকিউ সেন্টার প্রস্তুত করা হয়েছে। হুগলি বন্দরে ২ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সাগরে পাঁচ নম্বর সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ফণীর আশঙ্কায় পশ্চিমবঙ্গের সব সরকারি স্কুলে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে, শুক্রবার রাত ৯টা থেকে পরের দিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কোন বিমান ওঠানামা করবে না কলকাতা বিমানবন্দর থেকে। উড়িষ্যার ভুবনেশ্বর বিমানবন্দর থেকে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected]