চট্টগ্রামে লালখান বাজারের পোড়া কলোনি এলাকায় পাহাড়ের ওপর গড়ে ওঠা ১০০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন। এর প্রতিবাদে স্থানীয়রা সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে। রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ অভিযান চলে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন আগ্রাবাদ সার্কেল জোনের ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম ও শারমিন আক্তার। ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সরকারের চেয়ে বড় কেউ নেই। রাষ্ট্রের মতো শক্তিশালী কিছুই নেই। পোড়া কলোনি এলাকার অবৈধ বসতবাড়ি থেকে একটি ট্রান্সফরমার জব্দ করে সরিয়ে ফেলতে চেয়েছিলাম। কারণ ওখানে কিছু অবৈধ লাইন ছিল। পরে এখানকার মহিলা কাউন্সিলর এবং স্থানীয় লোকজন এসেছিল। তাদের একটি নিবেদন ছিল, এখান থেকে কিছু বৈধ লাইন আছে। তাই ট্রান্সফরমারটি যেন বহাল থাকে। পরে তারা শর্ত দিয়েছে, লিখিত হলফনামা দিয়েছে এবং পিডিবির লোকজন জিম্মা দিয়েছে এ ট্রান্সফরমার থেকে  কোনো রকমের অবৈধ সংযোগ আর ভবিষ্যতে দেওয়া হবে না। যদি তারা তাদের শর্ত ভেঙে অবৈধ সংযোগ দেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনোরকম বাধার সম্মুখীন হয়েছে কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে লোকজনের সমাগম ছিল। কিন্তু কোনোরকম বাধার সম্মুখীন হইনি। সকাল থেকে এ কার্যক্রম করছি। ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আক্তার বলেন, আগামী ১৫ মে’র মধ্যে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার কথা রয়েছে। অভিযান চালিয়ে প্রায় ১০০ পরিবার উচ্ছেদ করা হয়েছে। পানির লাইন, গ্যাস লাইন যা ছিল তাও উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ জায়গায় গেল বছরেও উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছি, তারা আবারও এসে এখানে বসবাস করছে। এদিকে পাহাড়ে অবৈধ ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের উচ্ছেদ করার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ বিক্ষোভ করে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। দুপুর সোয়া ২টার দিকে নগরীর খুলশী থানার ইস্পাহানির মোড়ে আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুম ও বিএনপি নেতা ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মণির নেতৃত্বে সড়ক অবরোধ করে লালখান বাজারের বিভিন্ন পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসরত কয়েকশ’ নারী-পুরুষ। ঘটনাস্থলে দেখা গেছে, শুরুতে দুই লেন সড়কের উভয় পাশ অবরোধ করে রাখে তারা। এতে পুরো সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আক্তারুজ্জামান ফ্লাইওভারের প্রবেশমুখেও অপেক্ষমাণ গাড়ির জট তৈরি হয়। এর প্রভাব পড়ে আশপাশের এলাকায়ও। ওয়াসা, দামপাড়া, আলমাস  মোড়, কাজির দেউড়ি, টাইগারপাসসহ বিভিন্ন এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়।