ভারতের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফায় বিক্ষিপ্ত সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গে। চলল ব্যাপক জাল ভোট, বোমাবাজি, সংবাদমাধ্যমের গাড়ি ভাঙচুর, প্রার্থী-পুলিশ ধাক্কাধাক্কি, ইভিএম ভাঙচুর। চলল লাঠিচার্জও। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে মুখ ফাটল বিজেপি প্রার্থীদের। বোমাবাজিতে এক তৃণমূল কর্মী ও এক পুলিশ কর্মী আহত হন। অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগ উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল এবং বিজেপির পক্ষ থেকে। সোমবার সকালে ভোটগ্রহণ আরম্ভ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সবচেয়ে বেশি হাঙ্গামা বাধে পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে। এ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং রাজ্য পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন। তার অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে কাজ করছে। অন্যদিকে, এদিন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির বাইক বাহিনীর তা-বের অভিযোগ উঠল। বনগাঁর গাইঘাটার ফুলসরা খড়ের মাঠ এলাকার ১২৮ নম্বর বুথে বিজেপির বাইক বাহিনী তা-ব চালায় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের ওপর চড়াও হয়ে তাদের বাইক গুঁড়িয়ে দেয় বলেও জানা যায়। ঘটনায় আহত হন চারজন। পাশাপাশি, এদিন দুপুরে বনগার হিমলি এলাকায় চলে ব্যাপক বোমাবাজি। বোমার আঘাতে এক তৃণমূল কর্মী ভোট দিয়ে ফেরার সময় আহত হন। একইসঙ্গে আহত হন এক পুলিশ কর্মীও। এদিন দুপুরে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের ধনেখালি এলাকায় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ বাধে। অভিযোগ, এ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় স্থানীয় বুথে গিয়ে জাল ভোটের অভিযোগ তুলে হাতেনাতে জাল ভোট ধরে ফেলার পরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।