রাজধানীর শাহবাগ থানা থেকে দিনদুপুরে একটি সরকারি পিস্তল ও ১৬ রাউন্ড গুলি চুরি হয়। গেল রোববার এ ঘটনা ঘটনা ঘটে। সিসি টিভির ফুটেজ দেখে সন্দেহভাজন একজনকে শনাক্ত করা হলেও বুধবার পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি মামলা হয়েছে। এছাড়া গাফিলতির অভিযোগে থানার এএসআই হিমাংশু সাহাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
ডিএমপির সূত্র জানায়, রোববার দুপুরে দায়িত্ব পালন শেষে থানা ভবনের দোতলায় বিশ্রাম কক্ষে ফেরেন এএসআই হিমাংশু। এরপর দুপুর ২টা ২৫ মিনিট থেকে পরের ২ ঘণ্টার মধ্যে চুরির ঘটনাটি ঘটে। পরে হিমাংশু দেখেন, তার পিস্তল ও দুইটি ম্যাগাজিন নেই। অনেক খুঁজেও সেগুলোর সন্ধান মেলেনি। বিশ্রাম কক্ষের ভেতরে সিসি টিভি ক্যামেরা নেই। তবে বাইরের একটি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, শাহবাগ থানার সাব-কন্ট্রোল রুমের পাশের রাস্তা দিয়ে সন্দেহভাজন এক যুবক এসে সোজা দোতলায় উঠে যান। ঢোকা ও বের হওয়ার সময় তাকে মোবাইল ফোনে কথা বলতে অথবা কথা বলার ভান করতে দেখা গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এ যুবক অস্ত্র-গুলি চুরিতে জড়িত। কারণ কাছাকাছি সময়ে সন্দেহজনক আর কাউকে দোতলায় যেতে দেখা যায়নি। তবে ভেতর থেকে কেউ তাকে সহায়তা করেছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখছে কর্তৃপক্ষ।
শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান জানান, চুরি হওয়া অস্ত্র-গুলি উদ্ধারে নানামুখী তৎপরতা চলছে। আশা করা হচ্ছে, শিগগিরই চুরিতে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, ঘটনাটির তদন্ত চলছে। কে বা কারা কেন এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। অস্ত্র হেফাজতে রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় এএসআই হিমাংশু সাহাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।