logo
প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, বৃহস্পতিবার, মে ৯, ২০১৯
সর্বোচ্চ বরাদ্দ পরিবহন খাতে চতুর্থ স্থানে রয়েছে শিক্ষা
এডিপির আকার ২ লাখ কোটি টাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক

২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) সুপারিশ চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর আকার দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার ৯২১ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা খরচের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বরাদ্দের দিক থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেয়েছে পরিবহন খাত। বিদ্যুৎ, ভৌত অবকাঠামোর পরই সর্বোচ্চ বরাদ্দের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে রয়েছে শিক্ষা ও ধর্ম খাত। বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় এ খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। আগামী এনইসি সভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য এটা উপস্থাপন করা হবে।

এডিপি পর্যালোচনায় বলা হয়, চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (আরএডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছে ৫৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এ সময়ে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো খরচ করতে পেরেছে ৯৬ হাজার ৪৯৩ কোটি টাকা। গেল অর্থবছরের একই সময়ে অর্থাৎ ১০ মাসে আরএডিপি বাস্তবায়ন হয়েছিল ৫২ দশমিক ৪২ শতাংশ। ওই সময় খরচ হয়েছিল ৮২ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের মূল এডিপিতে বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা। সে তুলনায় নতুন অর্থবছরের এডিপির আকার বাড়ছে ১৭ দশমিক ১৮ শতাংশ। এছাড়া, মাঝপথে এ অর্থবছরের বরাদ্দ কমিয়ে সংশোধিত এডিপিতে ধরা হয় ১ লাখ ৬৭ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত এডিপির তুলনায় নতুন এডিপিতে বরাদ্দ বাড়বে ২১ দশমিক ৩৯ শতাংশ। নতুন এডিপিতে পদ্মা সেতু ও পদ্মা সেতুতে রেলসংযোগসহ গুরুত্ব বিবেচনায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে পরিবহন খাতে। এছাড়া, মন্ত্রণালয় হিসেবে সর্বোচ্চ ২৯ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ পাচ্ছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
এ সময় পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. নূরুল আমিন কোন খাতে কত বরাদ্দÑ সেই তথ্য তুলে ধরে জানান, আগামী অর্থবছরের জন্য খাতভিত্তিক বরাদ্দের খসড়ায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ ধরা হয়েছে পরিবহন খাতে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, পদ্মা সেতু ও পদ্মা সেতুতে রেলসংযোগ প্রকল্পের গুরুত্ব বিবেচনায় পরিবহন খাতে বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ৫২ হাজার ৮০৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, যা মোট এডিপির ২৬ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২৬ হাজার ১৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা, যা মোট এডিপির ১২ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ ও গৃহায়ন খাতে তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা, যা মোট এডিপির ১২ শতাংশ। শিক্ষা ও ধর্ম খাতে ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ, টাকায় যার পরিমাণ ২১ হাজার ৩৭৯ কোটি ১২ লাখ।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া উপরের চার খাতের পরই বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে ১৭ হাজার ৫৪১ কোটি ২৬ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা মোট এডিপির ৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ। পল্লী উন্নয়ন ও পল্লী প্রতিষ্ঠান খাতে ১৫ হাজার ১৫৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা, যা এডিপির ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ। স্বাস্থ্য, পুষ্টি, জনসংখ্যা ও পরিবার কল্যাণ খাতে ১৩ হাজার ৫৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, যা এডিপির ৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ। কৃষি খাতে ৭ হাজার ৬ ১৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, যা এডিপির ৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। নদীভাঙন রোধ ও নদীর ব্যবস্থাপনার জন্য পানি সম্পদ খাতে ৫ হাজার ৬৫২ কোটি ৯০ লাখ টাকা বা ২ দশমিক ৭৯ শতাংশ বরাদ্দ ধরা হচ্ছে এবং মানবসম্পদ উন্নয়নসহ দক্ষতা বৃদ্ধিতে গতিশীলতা আনয়নের জন্য জনপ্রশাসন খাতে ৫ হাজার ২৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা বা ২ দশমিক ৪৮ শতাংশ বরাদ্দ প্রস্তাব করা হচ্ছে।
বরাদ্দ গুরুত্বের বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সব খাতকেই সমান প্রাধান্য দেওয়া হয়। মানবসম্পদ উন্নয়ন, বিদ্যুৎ, অবকাঠামো, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষাÑ এ চার থেকে পাঁচটি ক্ষেত্রে আমরা ঘোরাফেরা করছি। কারণ, এগুলো আমাদের ভালো ফল দিয়েছে। 
প্রকল্প বাস্তবায়নের দীর্ঘসূত্রিতা ভাঙার জন্য নতুন কোনো পদক্ষেপ থাকছে কি নাÑ জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এ ট্রেন্ড ভাঙার জন্য আমরা চেষ্টা করেই যাচ্ছি। আইএমইডিকে আরও শক্তিশালী করা হবে। মাঠে যে প্রকল্প পরিচালকরা আছেন, তাদের অনেক স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। আমার মনে হয়, তারা আগের চেয়ে অনেক বেশি গ্রামে থাকছেন। আশা করি বড় ফল পাবেন। আপনারা বছর শেষে চমকপ্রদ সংবাদ পাবেন বলে জানান মন্ত্রী।

সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected]