ইউরোপ সেরার মুকুট লড়াইয়ে শেষ ৫ মৌসুম স্প্যানিশদের দাপট, বার্সা একবার, চারবার চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। ইংলিশ লিগের দাপট যেন ধীরে ধীরে নিভতে শুরু করেছিল স্প্যানিশদের দাপটে। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বা ইউরোপা লিগÑ একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছিল স্প্যানিশ ক্লাবরা।
সবচেয়ে জনপ্রিয় ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লিগ ইংলিশ লিগের ক্লাবগুলো ইউরোপ সেরা মঞ্চে ভুগেছে বেশ। আর্সেনাল তো বিধ্বস্তই হয়েছে জার্মানদের কাছে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও লিভারপুল তো কোয়ালিফাই-ই করতে পারেনি কয়েক মৌসুম! তবে ইংলিশদের সুদিন ফিরছে। দুই-দুটি ঘুরে দাঁড়ানোর ইতিহাস গড়ে ২০০৭-০৮ সালের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে দুই ইংলিশ ক্লাব।
এবার ইংলিশরা আরও বেশি শক্তিশালী। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড শক্তিশালী পিএসজিকে বিদায় করে কোয়ার্টারে উঠেছিল। তবে কোয়ার্টারে বার্সেলোনার কাছে হেরে বিদায়। লিভারপুল তো বার্সার বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ে ফাইনালে। প্রথম লেগে ৩-০ গোলে হারলেও ফিরতি লেগে ৪-০ গোলে জিতে বাজিমাৎ অল রেডদের। আর রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাসকে হারিয়ে শেষ চারে ওঠা আয়াক্সের রূপকথা থামায় টটেনহাম হটস্পার্স। প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ১-০ তে হারলেও ফিরতি লেগে ডাচদের ডেরায় ৩-২ এর ঐতিহাসিক জয়, শেষ ২০০৭-০৮ সালে ম্যানইউ-চেলসি ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল। সেটিই ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ অল ইংলিশ ফাইনাল।
এরপর ১০ বছর কাটলেও দুটি ইংলিশ ক্লাব ফাইনালে মুখোমুখি হতে পারেনি। তবে দুটি অল স্প্যানিশ (২০১৩-১৪, ২০১৫-১৬) ও একবার অল জার্মান (২০১২-১৩) ফাইনাল দেখেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ।
তবে প্রথমবারের মতো স্পার্স নাকি ১৪ বছর পরে লিভারপুলÑ কে হবে ইউরোপের সেরা। দেখতে অপেক্ষা করতে হবে ১ জুন পর্যন্ত। মাদ্রিদে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় শুরু হবে দুই ব্রিটিশ ক্লাবের ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জয়ের দ্বৈরথ।