বিশ্ব লুপাস বা এসএলই দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) বৃহস্পতিবার সকালে এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। শহীদ ডা. মিলন হলে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়া। সেমিনারে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএসএমএমইউর উপউপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। সেমিনারে জানানো হয়, শতকরা ৯০ ভাগ লুপাস রোগী কম বয়সি মহিলা যাদের শতকরা ৬৫ ভাগ রোগীর বয়স ১৬ থেকে ৫৫ এর মধ্যে, শতকরা ২০ ভাগ ১৬ বছরে নিচে এবং শতকরা ১৫ ভাগ ৫৫ বছরের বেশি মহিলা। ছেলেদের এ রোগের প্রকোপ মেয়েদের চেয়ে অনেক কম। সেমিনারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. আবদুর রহিম, রিউমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ও বিআরএস এবং আপলার এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, অধ্যাপক ও বিআরএস’র মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মিনহাজ রহিম চৌধুরী, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান। সমাপনী বক্তব্য রাখেন এলএফবি’র সভাপতি অধ্যাপক ডা. এমএন আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এলএফবি’র মহাসচিব ফারহানা ফেরদৌস। আরও বক্তব্য রাখেন বিএসএমএমইউর রিউমাটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শামীম আহমেদ, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আবু শাহীন, এলএফবি’র সদস্য কামরুন্নাহার কলি, আফসানা রিফাত মিতি। 
সেমিনারের পর ‘এসো হাতে হাত ধরি, রুখতে লুপাস ঐক্য গড়ি (খবঃ’ং ঔড়রহ ঞড়মবঃযবৎ; ঞড় ঋরমযঃ খঁঢ়ঁং)’ স্লোগানকে ধারণ করে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালি অত্র বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অংশ প্রদক্ষিণ করে। 
বিএসএমএমইউর রিউমাটোলজি বিভাগ ও বাংলাদেশ রিউমাটোলজি সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম লুপাস রোগের বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির উপর গুরুত্বারোপ করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়া এই রোগের বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যম কর্মীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি লুপাস নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা এগিয়ে আসার জন্য সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান।  সেমিনারে জানানো হয়, লুপাস বা এসএলই মানে সিস্টেমিক লুপাস ইরাথেমেটোসাস (ঝুংঃবসরপ খঁঢ়ঁং ঊৎুঃযবসধঃড়ংঁং-ঝখঊ). এসএলই রোগে রোগীর রোগ প্রতিরোধকারী সিস্টেম নিজের শরীরের বিরুদ্ধে কাজ করা শুরু করে। এ রোগকে সিস্টেমিক বলা হয়, কারণ এ রোগটি শরীরের বিভিন্ন সিস্টেম (যেমন- চর্ম এমএসকে সিস্টেম, ¯œায়ুতন্ত্র, রক্ত সঞ্চালন তন্ত্র, কিডনি ইত্যাদিকে) আক্রমণ করে। ইরাথেমেটোসাস শব্দটির অর্থ ত্বকের কিছু অংশ লাল হয়ে যাওয়া। লুপাস একটি গ্রিক শব্দ যার অর্থ ‘নেকড়ে’। যেহেতু এ রোগের আক্রমণ অনেকটা নেকড়ের আক্রমণের মতো আকস্মিক, তাই একে ‘লুপাস’ বলা হয়। লুপাস রোগে শরীরের চর্ম, ¯œায়ুতন্ত্র, রক্তসঞ্চালন তন্ত্র, কিডনি ইত্যাদি আক্রমণ করে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি