
প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, শুক্রবার, মে ১০, ২০১৯ | |
শিলা রানীর বৃদ্ধ বাবা আর কৃষি কাজ করতে পারেন না। মাও অসুস্থ। পরিবারে রোজগারের আর কেউ নেই। ছিল না বই-খাতা, কলম কেনার মতো সামর্থ্য। তাই নিয়মিত বান্ধবী সুরমা খাতুনের বই নিয়ে লেখাপড়া করে শিলা রানী। বান্ধবীর বই পড়ে জিপিএ-৫ পাওয়া শিলা রানী বড় হয়ে শিক্ষক হতে চায়। সে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় নাটোর সদরের আগদীঘা উচ্চবিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে। তার বাবা আগদীঘা গ্রামের আনন্দ প্রামাণিক পেশায় কৃষক হলেও বয়সের ভারে এখন আর কাজ করতে পারেন না। ২ কাঠা জমির ওপর ছোট্ট নড়বড়ে একটি বাড়ি ছাড়া তাদের আর কোনো সহায় সম্পত্তি নেই। সংসারে নেই কোনো ছেলেসন্তান। শিলারা পাঁচ বোন। বড় তিন বোনকে বিয়ে দিতেই বাবার সব শেষ। বাকি দুই বোনের লেখাপড়ার খরচ চালানোর মতো সক্ষমতা পরিবারের নেই। এতদিন বিদ্যালয়ের শিক্ষক আজিজুল ইসলাম ও শাহিন আলীর দেওয়া বই-খাতা নিয়ে পড়ালেখা করেছে।
শিক্ষকরা তাকে বিনা বেতনে প্রাইভেট পড়িয়েছেন। শিলা রানীর বাবা আনন্দ প্রামাণিক ও মা শান্তি রানী জিপিএ-৫ কি, না বুঝলেও মেয়ে শিক্ষক ও প্রতিবেশীদের আনন্দ প্রকাশে বুঝতে পেরেছেন; মেয়ে ভালো ফল করেছে। কিন্তু এখন নিজের সামান্য উপার্জন দিয়ে কীভাবে তাকে উচ্চশিক্ষা দেবেন সেই চিন্তায় তিনি হতাশ হয়ে পড়েছেন। সমাজের বিত্তবান ও হৃদয়বানরা শিলা রানীর পাশে দাঁড়ালে উচ্চশিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে নিজেকে শিক্ষক হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন সফল হতে পারে তার।
![]() সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected] |