আদিবাসী ও দলিতদের উন্নয়ন এবং তাদের অধিকার নিশ্চিতে পৃথক মন্ত্রণালয় গঠন, অথবা পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনেই আদিবাসী ও দলিতবিষয়ক আলাদা সেল গঠন এবং আদিবাসী ও দলিত সুরক্ষা আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন আদিবাসী ও দলিত নেতারা। বৃহস্পতিবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আয়োজিত ‘আদিবাসী ও দলিত জনগোষ্ঠীর অধিকার ও সরকারি সেবাসমূহে অন্তর্ভুক্তি’ বিষয়ক এক অ্যাডভোকেসি সভায় এসব দাবি জানান তারা। সম্প্রতি টিআইবির উদ্যোগে পরিচালিত ‘বাংলাদেশের আদিবাসী ও দলিত জনগোষ্ঠী : অধিকার ও সেবায় অন্তর্ভুক্তির চ্যালেঞ্জ এবং করণীয়’ শীর্ষক এক গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে এ অ্যাডভোকেসি সভার আয়োজন করা হয়। 

সভায় উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, রাজশাহীর সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন, অভিযানের নির্বাহী পরিচালক বনানী বিশ্বাসসহ দেশের বিভিন্ন আদিবাসী প্রমুখ। অ্যাডভোকেসি সভায় টিআইবির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের বিবেচনার জন্য এর আগে পেশ করা ১৩ দফা সুপারিশের সঙ্গে একমত হয়ে আদিবাসী, দলিত ও চা-শ্রমিক প্রতিনিধিরা আরও কিছু দাবি তুলে ধরেন। সেগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলোÑ সরকারি কর্মকমিশনের প্রশিক্ষণ নীতিমালায় আদিবাসী ও দলিতদের বিষয় অন্তর্ভুক্তি করা, আদিবাসী ও দলিতদের জন্য পৃথক ব্যাংক ঋণ নীতিমালা গ্রহণ করা, রাষ্ট্রীয় গেজেট তালিকায় বাদ পড়া বিভিন্ন আদিবাসী ও দলিত গোষ্ঠীকে তফসিলভুক্ত করা, আদিবাসী ও দলিতদের বিরুদ্ধে নির্যাতন, ধর্ষণ ও সম্পদ দখলের মামলাগুলো দ্রুত বিচার আইনের আওতায় আনা, সংসদে আদিবাসী ও দলিতদের জন্য সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা করা, চাকরি ক্ষেত্রে বৈষম্য বন্ধ করা, স্থানীয় সরকারসহ বিভিন্ন সরকারি কমিটিতে আদিবাসী ও দলিতদের অন্তর্ভুক্ত করা, সমতলের আদিবাসী ও দলিতদের জন্য অর্থসহায়তা আরও বাড়ানো, চা-শ্রমিকদের লিখিত স্বীকৃতি প্রদানসহ তাদের জীবনমান উন্নয়নে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ ইত্যাদি।