আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করার অভিযোগে উত্তর কোরিয়ার একটি জাহাজ জব্দ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন বিচার বিভাগ বলছে, ওই জাহাজে করে কয়লা পরিবহন করা হতো। কয়লা উত্তর কোরিয়ার প্রধান রপ্তানিপণ্য। তবে দেশটির কয়লা রপ্তানির ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই প্রথমবার নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের কারণে উত্তর কোরিয়ার কোনো জাহাজ জব্দ করল যুক্তরাষ্ট্র। তবে দেশটি এ পদক্ষেপ নিয়েছে এমন সময়, যখন দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক নতুন করে তিক্ত হয়ে উঠছে। এদিকে এক সপ্তাহের কম ব্যবধানে দ্বিতীয় দফা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। স্বল্পপাল্লার ওই ক্ষেপণাস্ত্র ৪২০ কিলোমিটার অতিক্রম করতে পারে। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সঙ্গে জাহাজ জব্দের ঘটনার কোনো যোগসূত্র নেই। ‘ওয়াইজ অনেস্ট’ নামের উত্তর কোরিয়ার ওই জাহাজকে গত বছরের এপ্রিলে প্রথম ইন্দোনেশিয়ায় আটক করা হয়। ওই বছর জুলাইয়ে সেটি জব্দ করার আবেদন করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর ইন্দোনেশিয়া জাহাজটিকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়। এখন সেটি যুক্তরাষ্ট্রের পথে রয়েছে।
মার্কিন কৌঁসুলি জেফরি এস বেরম্যান বলেছেন, আমাদের অফিস জানতে পেরেছে, জাহাজের নিবন্ধন গোপন করে উত্তর কোরিয়া উন্নতমানের কয়লা বিদেশি ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছে। তারা এর মাধ্যমে শুধু নিষেধাজ্ঞাই লঙ্ঘন করেনি, বরং এ জাহাজের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ায় ভারি যন্ত্রপাতি আমদানি করা হয়েছে। এ জাহাজের রক্ষণাবেক্ষণ খরচ মার্কিন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ডলারে দেওয়া হতো বলে জানা যাচ্ছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষকে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার নতুন সুযোগ এনে দিয়েছে। পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জেরে উত্তর কোরিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার আরোপ রয়েছে। বিবিসি