প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, রবিবার, মে ১২, ২০১৯ | |
বগুড়ার শেরপুরে অতি দরিদ্রদের জন্য সরকারের নেওয়া ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কাগজ-কলমে বায়বীয় প্রকল্প, শ্রমিকদের ভুয়া হাজিরা আর নিজেদের লোকজনকে শ্রমিক বানিয়ে এ প্রকল্পের সিংহভাগ টাকা লোপাট করার অভিযোগ উঠেছে। এসব অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্তে মাঠে নেমেছে উপজেলা প্রশাসন। এরই মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী শাহবন্দেগি ইউনিয়নের কর্মসৃজন কর্মসূচির বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি অনিয়মের সত্যতা পেয়ে ওই প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেন তিনি। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস জানায়, গত বছরের ২৭ মে থেকে এ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে অতি দরিদ্রদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এ প্রকল্পে ১ কোটি ৫২ লাখ ১৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ১ হাজার ৯০২ শ্রমিক কাজ করছেন; কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় এর উল্টো চিত্র। শ্রমিকদের অনুপস্থিতি, কাজ না করেই টাকা উত্তোলন, শ্রমিক না হয়েও তালিকায় নাম থাকা, এলজিইডির আওতাভুক্ত সড়কে নামমাত্র মাটি ফেলার নামে কর্মসৃজন প্রকল্পের টাকা লোপাট করা হচ্ছে। এমন চিত্র উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নগুলোতেও। কাগজ-কলমের মারপ্যাঁচে অনিয়ম-দুর্র্নীতির মাধ্যমে এ প্রকল্পের সিংহভাগ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবদুল মোমিনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী শেখ বলেন, কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি মেনে নেওয়া হবে না। তাই একাধিক টিম গঠন করে প্রকল্পগুলো মনিটরিংয়ের কাজ শুরু করা হচ্ছে। গতকাল সরেজমিন পরিদর্শনকালে অনিয়মের সত্যতা পাওয়ায় শাহবন্দেগি ইউনিয়নের একটি প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প সভাপতি ও ইউপি সদস্যকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
![]() সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected] |