প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, মঙ্গলবার, মে ১৪, ২০১৯ | |
কুড়িগ্রামের বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের বুড়াবুড়ি বাজার থেকে বোতলা জনতারহাটগামী সাঁকোর পাড় এলাকায় ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ২৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩৬ ফুট দৈর্ঘ্যরে সেতু নির্মাণ করে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নির্মাণকাজ শুরু করে ওই বছরের এপ্রিলে শেষ করে। অভিযোগ উঠেছে, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের যথাযথ নজরদারির অভাবে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগেই সেতুটি ভেঙে পড়ে। এরপর চার বছরেও সংস্কার বা নতুন সেতু নির্মাণ করা হয়নি। কিন্তু উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত বিল উত্তোলন করে নিয়েছে। আলোকিত বাংলাদেশে প্রকাশ, সেতুটি ভেঙে পড়ায় ওই এলাকার সাতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ প্রায় ২০ গ্রামের ৫০ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকার নারী-শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ। স্থানীয়রা নিজস্ব উদ্যোগে সেতুর দুই পাশে কাঠের সাঁকো বানিয়ে কোনোভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রেখেছেন। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুতই সেতুটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, সারা দেশে এমন ভেঙে যাওয়া বা চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ সেতু কম নয়। কোনো কোনো সেতু এতই ঝুঁকিপূর্ণ যে, তা পুনর্নির্মাণ ছাড়া উপায় নেই। আবার কিছু কিছু সেতু সামান্য ঝুঁকিপূর্ণ, তা অল্প সংস্কার করলে চলে। কিন্তু তা-ও দিনের পর দিন অবহেলায় পড়ে থাকে এবং একসময় তা আরও ঝুঁঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। তখন দেখা যায়, ঝুঁঁকিপূর্ণ সেতুতে লেখা হয় ‘ইহা ঝুঁকিপূর্ণ সেতু, যান চলাচল নিষিদ্ধ’ বা ‘ঝুঁঁকিপূর্ণ সেতু। ভারী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হইল’ ইত্যাদি। কিন্তু এ সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়ে দায়িত্ব শেষ করলে চলবে না। দ্রুত সংস্কার বা পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নিতে হবে। এসব সেতুতে ভারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ হলেও অনেক ক্ষেত্রে তা দেখার কেউ থাকে না। ফলে ঝুঁঁকিপূর্ণ সেতু দিন দিন আরও ঝুঁঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।
এসব সেতু জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করা প্রয়োজন। তা না হলে যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এজন্য যথাসময়ে অর্থ বরাদ্দসহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। এছাড়া সেতু নির্মাণে যাতে কখনোই নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা না হয়, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবশ্যই নজরদারি বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে যদি কখনও প্রমাণ হয় যে, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে; তবে অবশ্যই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কুড়িগ্রামের বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের সেতুটিসহ সারা দেশের ঝুঁকিপূর্ণ সেতুগুলো সংস্কারে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। হ
![]() সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected] |