
প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, মঙ্গলবার, মে ১৪, ২০১৯ | |
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নের মহিরা-ক্ষেত্রপাল সড়কের সেতুর নির্মাণকাজ দেড় বছরেও শেষ হয়নি। এতে চলাচলের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। তারা সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ করার জন্য স্থানীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
জানা যায়, পটিয়া উপজেলা এলজিইডির অধীন ২০১৭ সালের অক্টোবরে জিরি ইউনিয়নের মহিরা-ক্ষেত্রপাল সড়কের মাঝামাঝিতে পানি নিষ্কাশনের জন্য ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণের বরাদ্দ দেওয়া হয়। ঠিকাদার শামীম অ্যান্ড ব্রাদার্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ১৭ শতাংশ কম দামে টেন্ডার গ্রহণ করেন। এক বছরের মধ্যে কাজটি শেষ করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। এলজিইডি অফিস কর্তৃক এরই মধ্যে কাজ সমাপ্তের মেয়াদ দুইবার বৃদ্ধি করা হয়েছে। এরপরও ঠিকাদারের অবহেলায় এ সেতু নির্মাণকাজ শেষ করা হচ্ছে না। ব্রিজের পাশে চলাচলের জন্য ঠিকাদার কর্তৃক একটি বাঁশের সেতু নির্মাণ করা হলেও পানির ঢলে বর্ষাকালে সেতুটি ভেঙে যায়। পরে মহিরা-ক্ষেত্রপাল কমিটিসহ স্থানীয় দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীব দাশের তত্ত্বাবধানে প্রায় দেড় লাখ টাকা ব্যয়ে চলাচলের রাস্তা নির্মাণ করা হয়। এছাড়া রাস্তাটি শান্তিরহাট বুধপুরা কালীগঞ্জ সড়কের সঙ্গে যোগাযোগ থাকায় বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, ফকিরা মসজিদ বাজার, শান্তিরহাট বাজার, বুধপুরা বাজারসহ লোকজন পটিয়া-চট্টগ্রামে যাতায়াত করেন। সেতুটি নির্মাণ না হওয়ায় চলাচলে তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে মহিরা-ক্ষেত্রপাল কমিটির সভাপতি পুলিং বিহারী আইস, সাধারণ সম্পাদক সুধীর গুপ্ত ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা প্রদীপ দাশ জানান, সেতুটি নির্মাণের জন্য শামীম অ্যান্ড ব্রাদার্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রায় দেড় বছর আগে মহিরা সড়কের ব্রিজ নির্মাণের জন্য টেন্ডার গ্রহণ করেন। কিন্তু ঠিকাদারের অবহেলায় দেড় বছরেও ব্রিজ নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় এমপিকে অবহিত করা হয়েছে। তারা অসমাপ্ত কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে বর্ষার আগে ব্রিজের নির্মাণকাজ শেষ করে জনসাধারণের চলাচলের উপযোগী করার জোর দাবি জানান। এ প্রসঙ্গে পটিয়া উপজেলা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ দত্ত বলেন, ঠিকাদারকে দ্রুত কাজ সম্পাদন করার জন্য বারবার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। আশা করি, দুই মাসের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা হবে। অন্যথায় ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে।
![]() সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected] |