বিদেশ গমনের অর্থ হাতিয়ে নিতেই নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে মাজেদ আলীকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। সোমবার বিকালে কিলিং মিশনে থাকা গ্রেপ্তারকৃত সোহেল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ কথা বলেন। কিলিং মিশনে থাকা সুলতান মাহমুদ বাবুকে (৩৬) মঙ্গলবার সকালে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থানাধীন গোয়াগাটিয়ার শিমুলিয়া এলাকা হতে ও ৮ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের শিবু মার্কেট এলাকা থেকে মহিউদ্দিন বুলুকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জে অবস্থিত র?্যাব-১১ এর সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র?্যাব-১১ এর সিও লে. কর্নেল কাজী শমসের উদ্দিন। 

গ্রেপ্তারকৃত সুলতান মাহমুদ বাবুকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ঘটনার মূল অভিযুক্ত মহিউদ্দিন বুলু ও সুলতান মাহমুদ বাবু দুইজনই সম্পর্কে মামা-ভাগিনা। ঘটনার কয়েক দিন আগে বুলু এক লোককে মারার জন্য তার সহযোগিতা চান এবং সহযোগিতা করলে ১ লাখ টাকা দেবে বলে আশ্বাস দেন। টাকার লোভে বাবু রাজি হন এবং দুইজন মিলে মাজেদ আলীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী বাবু তার শ্বশুর বাড়ির এলাকা থেকে তার পূর্ব পরিচিত সোহেলের নৌকা ভাড়া করেন। অন্য দিকে বাবু মাজেদকে নৌকায় করে নদীতে ও চরে ঘুরতে নিয়ে যাবে বলে কৌশলে ফুসলিয়ে ফতুল্লা ভাড়া বাসা থেকে নিয়ে যান। দুইজন মিলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ঠা-া মাথায় মাজেদ আলীকে হত্যা করে মেঘনা নদীতে লাশ ভাসিয়ে দেন।
র‌্যাব-১১ এর একটি বিশেষ গোয়েন্দা বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়ে শিবু মার্কেট এলাকা থেকে মহিউদ্দিন বুলুকে (৪২) আটক করে। মহিউদ্দিন বুলু পেশায় একজন আদম ব্যবসায়ী। তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানাধীন গোয়াগাছিয়া এলাকায়। 
এদিকে ১০ মে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি বাজার ঘাট থেকে নৌকার মাঝি সোহেলকে (২১) আটক করে র‌্যাব। গ্রেপ্তারের পর র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নৌকার মাঝি সোহেল ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়ে সোমবার নারায়ণগঞ্জ জেলার সিনিয়র জুডিয়িাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।