তিন বা বহু দেশ নিয়ে আয়োজিত বিভিন্ন টুর্নামেন্টে ৬ বার ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। কিন্তু টাইগাররা একবারও শিরোপা জিততে পারেনি। কিন্তু এবার আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল জিততে পারে বাংলাদেশ। এমনটি বলেছেন আসন্ন বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের টিম ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন।

আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল ম্যাচে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ সামনে রেখে বৃহস্পতিবার মিরপুরে খালেদ মাহমুদ সুজন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ফাইনাল হারাটা সবসময়ই কষ্টের। কাছাকাছি গিয়ে হারাটা আরও কষ্টের। (২০১২, এশিয়া কাপে) প্রথম যখন ২ রানে আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে হারলাম তখনও বড় দুঃখের একটা ব্যাপার ছিল। তো ওখান থেকে আমরা অনেক শিখেছি। আগে যেসব ফাইনাল হেরেছি সেখানে আন্ডারডগ ছিলাম। এবার মনে হচ্ছে আমরা ফেবারিট আয়ারল্যান্ড সিরিজে। বাংলাদেশ দল খেলছেও ফেবারিটের মতো। ভাগ্যটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে স্কিলের মাধ্যমে আমরা হয়তো ভাগ্যকে জয় করতে পারব।’
এই সিরিজে ওপেনিংয়ে তামিমের সঙ্গে সৌম্য-লিটন দুজনই ভালো করছেন। বোলারদের মধ্যে রাহি ৫ উইকেট নিয়েছেন। এক্ষেত্রে একাদশ সাজানো কঠিন হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সুজন বলেন, ‘মধুর সংকট। নিঃসন্দেহে আমরা তো পিক করব। রাহি দারুণ বোলিং করেছে। তারপরও যেহেতু ১১ জনের খেলা ম্যানেজমেন্ট বসে সিদ্ধান্ত নেবে। নির্বাচন করতে হবে কাকে নিলে বেশি অবদান রাখতে পারবে। সবার মধ্যে সুস্থ একটা প্রতিযোগিতা চলছে সেটা ভালো। সবাই পারফর্ম করছে এসব পুরো দলকেই জাগিয়ে তুলবে বলে আমি মনে করি।’ ফাইনালের সম্ভাব্য একাদশ প্রসঙ্গে সুজন বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে গেলে এটা তো (ম্যাচের একাদশ) কন্ডিশন মাথায় রেখে করতে হবে। কেমন উইকেট হবে ... গতকালের (বুধবার) উইকেট যথেষ্ট ফ্ল্যাট ছিল।  গত ম্যাচে আমরা চার সিমার নিয়ে অনেক দিন পর খেললাম। তো চার পেসার নিয়েই খেলবে কিনা এসব নিয়ে তো টিম ম্যানেজমেন্ট আলোচনা করবেই। সৌম্য ব্যাক টু ব্যাক ম্যাচে রান করেছে সেটাও একটা বড় ব্যাপার। লিটনও রান করেছে। মিঠুনও রান করেছে। যদিও গত ম্যাচে তাকে ব্রেক দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে হয় সেরা বোলিং আক্রমণ নিয়েই খেলবে বাংলাদেশ। মোস্তাফিজকে মনে হয় ফেরানো হবে। অবশ্যই মাশরাফি খেলবে। সাইফউদ্দিনকে আমি মনে করি বর্তমান সময়ের সেরা ডেথ বোলার। এটা আমি বিশ্বাস করি। মিরাজ, সাকিব তো থাকবেই। পাঁচ বোলারই হয়তোবা খেলবে। লিটন ভালো খেললেও আমার মনে হয়  (টিম ম্যানেজমেন্ট) সৌম্যকে খেলাবে।’