প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, শুক্রবার, মে ১৭, ২০১৯ | |
ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির মধ্যে ৯৯ জনকে অভিযুক্তের তালিকায় এনেছে পদবঞ্চিতরা। অভিযুক্তদের মধ্যে অনেকেই হত্যাচেষ্টা ও মাদক মামলার আসামি, ইয়াবাসেবী, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, বিবাহিতসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িত। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ আনেন পদবঞ্চিতরা। অন্যদিকে পদবঞ্চিতদের ওপর হামলার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির তালিকায় উঠে এসেছে ১৭ অভিযুক্তের নাম। যারা বিভিন্ন সময় নানা অপরাধমূলক কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িত ছিল। তাদের নির্দোষ প্রমাণ করতে ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়। বুধবার মধ্যরাতে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতারা।
ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি সোমবার প্রকাশ করা হয়। এতে বিতর্কিতদের পদায়ন করায় বঞ্চিতরা বিক্ষোভ মিছিল করে। এতে হামলা করে পদপ্রাপ্তরা। এর একপর্যায়ে কমিটিতে বিতর্কিতদের নাম আলোচনায় আসতে থাকে। এরই মধ্যে ৯৯ বিতর্কিতদের নাম প্রকাশ করে পদবঞ্চিতরা। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নাম প্রকাশ করেন বর্তমান কমিটির পদবঞ্চিত এবং গত কমিটির প্রচার সম্পাদক সাইফ বাবু। এসময় পদবঞ্চিতদের মধ্যে অর্ধশতাধিক নেতা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে ঘোষিত পদপ্রাপ্তদের মধ্যে অভিযুক্তদের মধ্যে সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন ২৮ জন। তারা হলেন তানজিল ভূঁইয়া তানভীর (বয়স উত্তীর্ণ ও ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, সম্মেলনের সময় বয়স ২৯ বছর ৬ মাস ১৭ দিন), রেজাউল করিম সুমন (চাকরিজীবী ও মাদকাসক্ত), আরেফিন সিদ্দিক সুজন (মাদক ব্যবসায়ী, সূর্যসেন হলে তার নিজ কক্ষ ৩১৫ রুম থেকে হল প্রভোস্টের উপস্থিতিতে মাদক উদ্ধার করা হয় এবং রুম সিলগালা করা হয়), আতিকুর রহমান খান (মাদকাসক্ত ও অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ছিনতাইয়ের সঙ্গে সরাসরি জড়িত, দীর্ঘদিন রাজনীতিতে অনুপস্থিত ছিল), বরকত হোসেন হাওলাদার (ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার), আবু সালমান প্রধান শাওন (মাদকাসক্ত ও দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়), শাহরিয়ার কবির বিদ্যুৎ (মাদকাসক্ত ও মামলা রয়েছে), ফুয়াদ রহমান খান (বয়স উত্তীর্ণ ও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে অনুপস্থিত), সাদিক খান (বিবাহিত, মাদকাসক্ত ও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে অনুপস্থিত), তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী (বিএনপি ও জামায়াতঘেঁষা পরিবারের সন্তান), এসএম তৌফিকুল হাসান সাগর (বাবা যুদ্ধাপরাধী), তৌহিদুর রহমান হিমেল (ঠিকাদার ব্যবসা), মাহমুদুল হাসান (জামায়াত পরিবারের সন্তান), সৃজন ভূঁইয়া (চাকরিজীবী অগ্রণী ব্যাংক), তৌহিদুর রহমান পরশ (জীবনের প্রথম পদ), কামাল খান (কোটা আন্দোলনকারী), আবু সাইদ (সাস্ট, ছাত্রলীগ থেকে আজীবন বহিষ্কার ও শিক্ষককে অপমান করায় বিশ^বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত), খালিদ হাসান নয়ন (বয়স উত্তীর্ণ ও মেডিকেলের প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত ও ডাকাতি মামলার বর্তমান আসামি), আমিনুল ইসলাম বুলবুল (হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি এবং ছয়টি মামলার আসামি), রুহুল আমিন (সাবেক ছাত্রদল নেতা ও বিবাহিত), সোহানী হাসান তিথি (একাধিকবার বিবাহিত), মাহমুদুল হাসান তুষার (শিবির কর্মী), এসএম হাসান আতিক (৩৯তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত ও বিবাহিত), সুরঞ্জন ঘোষ (বয়স উত্তীর্ণ), জিয়ান আল রশিদ (ব্যবসায়ী, গ্লোব কোম্পানির পরিচালক), সোহেল রানা (বয়স উত্তীর্ণ ও প্রথম পদ), মুনমুন নাহার বৈশাখী (বিবাহিত ও জামায়াত পরিবারের সন্তান), তরিকুল ইসলাম (চার্জশিটভুক্ত ছয়টি মামলার আসামি ও নিয়োগ বাণিজ্য প্রতারণা)।
তিনজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হলেন প্রদীপ চৌধুরী (নকলের দায়ে ঢাবি থেকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার ও পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে আগুন, ভাঙচুর), শাকিল ভূঁইয়া (বাবা খোকন ভূঁইয়া মাদারীপুর পৌর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক), মোর্শেদুল হাসান রূপম (ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল)।
সাংগঠনিক সম্পাদক ফেরদৌস আলম (রাজাকার পরিবারের সন্তান, যৌন হয়রানিকারী এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত), উপপ্রচার সম্পাদক সিজাদ আরেফিন শাওন (বিবাহিত ও সন্তান রয়েছে), উপ-দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আবদুল্লাহ বিন মুন্সি (কোটা আন্দোলনের সংগঠক, বঙ্গবন্ধু হল) উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক সৌরভ নাথ (লুবনান থেকে চাঁদাবাজির দায়ে তিন মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামি), উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক আফরীন লাবণী (একাধিক বিবাহিত), উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক ফুয়াদ হাসান (বয়স উত্তীর্ণ, মাদক ব্যবসায়ী), উপ-পাঠাগার সম্পাদক রুশী চৌধুরী (বিবাহিত), ধর্ম সম্পাদক তাজউদ্দিন (শিবিরের অর্থ সম্পাদক), উপ-গণশিক্ষা সম্পাদক মনিরুজ্জামান তরুণ (প্রথম পদ), উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ সম্পাদক সালেকুর রহমান শাকিল (প্রথম পদ), উপ-স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. শাহজালাল (প্রথম পদ ও সাবেক শিবিরকর্মী, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের প্রেস রিলিজে আছে), উপ-গণযোগাযোগ সালাউদ্দিন জসিম (ওয়ারী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক, বিবাহিত), সুশোভন অর্ক (উপ-গণযোগাযোগ, চাকরিজীবী, বাংলাট্রিবিউন পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার), আসিফ ইকবাল অনিক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক, বিবাহিত), মো. তুষার (উপ-বেসরকারি, প্রথম পদ), রাকিবুল ইসলাম সাকিব (উপ-বেসরকারি, বিবাহিত), শাহরিয়ার মাহমুদ রাজু (উপ-আপ্যায়ন, জসীমউদ্দীন হলের ৩২১নং রুম থেকে ইয়াবা সেবনকালে হল প্রভোস্টের সহায়তায় পুলিশে সোপর্দ), হিরণ ভূঁইয়া (উপ-মানবসম্পদ, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কৃত), এসএম মাসুদুর রহমান মিঠু (কৃষি সম্পাদক, বিবাহিত), অভিমুন্য বিশ্বাস অভি (উপ-কর্মসংস্থান, ইউনানি ওষুধ ব্যবসায়ী), জাফর আহমেদ ইমন (সহ-সম্পাদক, ছাত্রদল নেতা, প্রথম পদ), তানভীর আবদুল্লাহ (সহ-সম্পাদক, ব্যবসায়ী (প্রথম পদ), সামিহা সরকার (সহ-সম্পাদক, বাবা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বিএনপি মনোনীত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, বিবাহিত), ফারজানা ইসলাম রাখি (সহ-সম্পাদক, বিবাহিত), তামান্না তাসনিম তমা (সহ-সম্পাদক, বিবাহিত (প্রথম পদ), মো. মেহেদী হাসান রাজু (সহ-সম্পাদক) এসআই পরীক্ষার প্রক্সি দিতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক এবং সাজাপ্রাপ্ত আসামি, আঞ্জুমান আরা অনু (সহ-সম্পাদক, বিবাহিত, প্রশ্নফাঁস জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত), আসিফ রায়হান (সহ-সম্পাদক, বাবা ৬নং গুপ্তি ইউনিয়ন, চাঁদপুর বিএনপির সভাপতি), শফিকুল ইসলাম কোতয়াল (সহ-সম্পাদক, প্রথম পদ), শেখ আরজু (সহ-সম্পাদক, বিবাহিত), ফয়সাল করিম দাউদ খান (সদস্য, ১ম পদ), আল ইমরান (উপ-কর্মসংস্থান, বাবা জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, (প্রথম পদ), ওয়াহিদুজ্জামান লিখন (উপ-আন্তর্জাতিক, প্রথম পদ), সোহেল রানা সান্ত (সহ-সম্পাদক, আজীবন বহিষ্কার), বেলাল মুন্না (উপ-মানব, বিবাহিত) মেসকাত হোসেন (উপ-প্রশিক্ষণ, সাংবাদিকদের রুম ভাঙচুর করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২ বছরের জন্য বহিষ্কৃত), শহিদুল ইসলাম (সহ-সভাপতি, সাবেক চাকরিজীবী ও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে অনুপস্থিত), ফরহাদ হোসেন তপু (সহ-সভাপতি, বিবাহিত) তানজীদুল ইসলাম শিমুল (সহ-সভাপতি, বিগত চার থেকে পাঁচ বছর ছাত্রলীগের কোনো মিছিল-মিটিংয়ে দেখা যায়নি), সোহানুর রহমান সোহান (সাংগঠনিক সম্পাদক, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ী), আরিফ শেখ (উপ-প্রচার, পুলিশের কাছে মাদকসহ আটক), বায়েজিদ কোতয়াল (উপ-ক্রীড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত), মহসিন খন্দকার (উপ-অর্থ সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদকের বাসার দেখাশোনা করে), রাকিনুল হক চৌধুরী (আন্তর্জাতিক সম্পাদক, সভাপতির আপন ভাই), রনি চৌধুরী (সহ-সম্পাদক, মুন্সীগঞ্জের কোলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আসিফ হাওলাদার এর হত্যা মামলার আসামি), এম সাজ্জাদ হোসেন (সহ-সভাপতি, ছাত্রলীগের প্রথম পদ ও বিবাহিত), এসএম মাহবুবুর রহমান সালেহী (উপ-আন্তর্জাতিক, দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয়), ওমর ফারুখ পাংকু (সহ-সম্পাদক, বিএনপি পরিবার, আপন চাচা শরীয়তপুর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, বাবা শরীয়তপুর সদর উপজেলা যুবদলের সহ-সভাপতি), আলিমুল হক (সহ-সভাপতি, পহেলা বৈশাখের কনসার্টে অগ্নিসংযোগকারী। বড় ভাই মঞ্জিল হক শুনই ইউনিয়ন বিএনপির নেতা), মো. রাকিব হোসেন (অর্থ সম্পাদক, আপন বড় ভাই রাজু আহমেদ সহ-সভাপতি, নড়িয়া উপজেলা ছাত্রদল, মামা অ্যাডভোকেট হেলাল আকন্দ শরীয়তপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক), শফিউল ইসলাম সজিব (উপ-স্বাস্থ্য, ৩৯তম বিসিএসের সহকারী সার্জন হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত, ছাত্রলীগের প্রথম পদ), মাজহারুল ইসলাম মিরাজ (সহ-সভাপতি, বিএনপি পরিবারের সন্তান), রাকিব উদ্দিন (সহ-সভাপতি, ঠিকাদার) নাজিম উদ্দিন (সাংগঠনিক সম্পাদক, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে), রেজাউল করিম (সহ-সম্পাদক, বিবাহিত, বয়স উত্তীর্ণ ও মাদক মামলা আছে), ফেরদৌস শাহরিয়ার নিলয় (উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ সম্পাদক, বিএনপি পরিবার), নিলায়ন বাপ্পী (উপ-প্রচার, বিবাহিত), মোমিন শাহরিয়ার (উপ-দপ্তর, মামলার আসামি), মাজহারুল কবির শয়ন (উপ-নাট্য বিতর্ক, কোটা আন্দোলনকারী), নাজমুল হুদা সুমন (উপ-গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন, বিবাহিত), রবিউল ইসলাম হাসিব মীর (উপ-কৃষি শিক্ষা, ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল বলে অভিযোগ আছে), ইন্দ্রনীল দেব শর্মা রনি (সদস্য সাবেক চাকরিজীবী), জাভেদ হোসেন (পাঠাগার সম্পাদক তার বাবা জামায়াত করে, চাচা কুমিল্লার লাঙ্গল কোট উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক), ফুয়াদ হোসেন শাহাদাৎ (আইন সম্পাদক, বিবাহিত), সালেকুর রহমান শাকিল (উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ, বাবা ভূরুঙ্গামারি উপজেলার বিএনপির মৎস্যবিষয়ক সম্পাদক), আরিফ হোসেন (বিএনপি পরিবারের সন্তান), শফিউল ইসলাম সজিব (উপ-সাস্থ্য, বিএনপি পরিবারের সন্তান), তৌহিদুল ইসলাম জহির (সহ-সভাপতি, পিতা-ইদ্রিস চৌধুরী শোভন ডন্ডি ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি, মেজভাই গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী পুটিয়া উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। মা শাহনেওয়াজ চৌধুরী ১৯৯১ সালে জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির পুলিং এজেন্ট ছিল)।
সংবাদ সম্মেলন করে তালিকা প্রকাশের বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে ফোন দেওয়া হলেও কলটি রিসিভ হয়নি। উপস্থিত ছিলেন সাবেক কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন, সাবেক দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার শাহজাদা, সাবেক উপ-অর্থ সম্পাদক তিলোত্তমা শিকদার, জসীমউদ্দীন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহেদ খান, বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন রহমান, কুয়েত মৈত্রী হলের সভাপতি ফরিদা পারভীনসহ শতাধিক পদবঞ্চিত নেতা।
১৭ জনকে অভিযুক্ত করল কেন্দ্রীয় নেতারা : পদবঞ্চিতদের ওপর হামলার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির তালিকায় উঠে এসেছে ১৭ অভিযুক্তের নাম। যারা বিভিন্ন সময় নান অপরাধমূলক কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িত ছিল। তাদের নির্দোষ প্রমাণ করতে ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়। বুধবার মধ্যরাতে ধানমন্ডিতে অবস্থিত আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতারা।
এর মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা আরেফিন সিদ্দিকি সুজন ও আতিকুর রহমান খানের বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। আর শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ রয়েছে বরকত হোসেন হাওলাদারের বিরুদ্ধে। কমিটিতে স্থান পেলেও বয়সসীমা পার হয়েছে সুরঞ্জন ঘোষ ও তানজীল ভূঁইয়া তানভীরের। সংগঠনের নীতিবিরোধী কর্মকা-ে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুতের বিরুদ্ধে। মাহমুদুল হাসান তুষার মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে চেতনা ধারণ করেন বলে অভিযোগ। এছাড়া পরিবারের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কর্মকা-ের অভিযোগ রয়েছে তৌফিক হাসান সাগরের বিরুদ্ধে। এছাড়া কমিটিতে স্থান পাওয়া আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নামে মামলা রয়েছে। চাকরি করছেন আহসান হাবীব। কমিটিতে পদ পাওয়াদের মধ্যে বিবাহিত বলে অভিযোগ এসেছে সাদিক খান, সোহানী হাসান তিথি, রুশি চৌধুরী, মুনমুন নাহার বৈশাখী এবং আফরিন লাবণীর বিরুদ্ধে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ অভিযোগগুলো এসেছে জানিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ২৪ ঘণ্টায় অভিযুক্তদের কেউ অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রমাণ দিতে পারলে তা যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। এর স্থলে যোগ্যতা অনুযায়ী বঞ্চিতদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
![]() সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected] |