ঋণ পুনঃতফসিলেরে মাধ্যমে সারা দেশে বন্ধ হয়ে যাওয়া রাইস মিলগুলো চালু করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অটো রাইস মিলস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। এতে ধানের দাম বাড়বে বলে মনে করছে তারা।
শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে বাংলাদেশ অটো রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। ‘কৃষক বাঁচাও, দেশ বাঁচাও’ সেøাগানে এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির সভাপতি একেএম খোরশেদ আলম খান। এ সময় ১০ দফা দাবি তুলে ধরেন তিনি। দাবিগুলো হলো বন্ধ হওয়া অটো রাইস মিলগুলোর ঋণের পূর্বের শতভাগ সুদ মওকুফ করে রিসিউডিলের মাধ্যমে ২৫ থেকে ১০০ কোটি টাকা চলতি মূলধন দিতে হবে। সুদের হার কৃষিশিল্প হিসেবে ৪ থেকে ৫ শতাংশ ঠিক করতে হবে। বিদ্যুৎ বিল কৃষিশিল্প হিসেবে ৪ থেকে ৫ টাকা ইউনিট ঠিক করা। আপাতত চাল আমদানি শুল্ক ২৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪০ শতাংশে উন্নীত করা। শক্তিশালী টিমের মাধ্যমে প্রকৃত কৃষক শনাক্ত করা ও ২ শতাংশ হারে কৃষি ঋণ বিতরণের করা। এছাড়া কৃষি যন্ত্র উপকরণ কৃষি সমবায় সমিতির মাধ্যমে ৫ থেকে ৭ বছর মেয়াদি বিনা সুদে ব্যাংকের মাধ্যমে সরবরাহ করার দাবিও জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বড় প্রতিষ্ঠান মার্কেটে আসায় প্রতিযোগিতায় পড়েছে ছোট রাইস মিলগুলো। বড় প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ পেলেও ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ না পেয়ে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ রাইস মিল বন্ধ হয়ে গেছে।