রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অজ্ঞানপার্টির ৬২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাদের মধ্যে নিউমার্কেট থেকে ৩৮, ওয়ারী থেকে ৪, গুলিস্তান থেকে ৭, কুড়িল বিশ্বরোড থেকে ৮ এবং উত্তরা থেকে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চেতনানাশক ট্যাবলেট, ওষুধ মিশ্রিত জুস, খেজুর, ৭টি চোরাই মোবাইল ফোন ও একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।
ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম-কমিশনার (ডিবি) মো. মাহবুব আলম জানান, শনিবার রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে অজ্ঞান পার্টির ৬২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে তারা ঢাকা শহরের বিভিন্ন মার্কেট, শপিং মল, বাসস্ট্যান্ড, সদরঘাট, রেলস্টেশন এলাকায় আগত ব্যক্তিদের টার্গেট করে সখ্য স্থাপন করে। এরপর তাদের অপর সদস্যরা ট্যাবলেট মিশ্রিত খাদ্যদ্রব্য খেতে আমন্ত্রণ জানায়। টার্গেটকৃত ব্যক্তি রাজি হলে, ট্যাবলেট মিশ্রিত সেই খাদ্যদ্রব্য তাকে খাওয়ানো হয়। খাদ্য গ্রহণের পর অচেতন হলে তার মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এক্ষেত্রে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা খাদ্যদ্রব্য হিসেবে, চা, কফি, জুস, ডাবের পানি, পান, ক্রিম জাতীয় বিস্কুট খাওয়ায়।
মাহবুব আলম বলেন, কিছুক্ষেত্রে গ্রেপ্তাররা সাধারণ মানুষকে অজ্ঞান করে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে নিকট আত্মীয়স্বজনের কাছে ফোন করে বলে সে আমাদের কাছে আটক আছে। তাকে মুক্ত করতে বিকাশ বা অন্যকোনো মাধ্যমে টাকা পাঠাতে হবে। আত্মীয়স্বজন ভিকটিমকে মুক্ত করতে টাকা পাঠালে অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা টাকা নিয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়। তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তাররা বেশিরভাগই আদালত থেকে বিভিন্ন মামলায় জামিন বা খালাসপ্রাপ্ত। এসব ঘটনার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়ই ভিকটিমকে ছাড়া মামলা করতে হয় পুলিশের। ফলে আইনি দুর্বলতার কারণে আসামি জামিন বা খালাস পেয়ে থাকে।