চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে দেশে ফেরার পর আজ থেকে সচিবালয়ে অফিস করবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এদিন সকাল ১০টায় তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ক সভা এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন বলে মন্ত্রণালয় 

সূত্রে জানা গেছে। শনিবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা আবু নাসের বলেন, রোববার সকাল ১০টায় সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ক সভা এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন সেতুমন্ত্রী। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে ২ মাস ১১ দিন পর বুধবার দেশে ফেরেন ওবায়দুল কাদের। ওইদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাকে নিয়ে বিজি-০৮৫ ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন । দেশে ফেরার পর তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 
গুরুতর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওবায়দুল কাদের ৩ মার্চ ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের (বিএসএমএমইউ) ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি হন। শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও এনজিওগ্রাম করে তার হার্টে তিনটি ব্লক পাওয়া গেলে একটি ব্লকে রিং পরানো হয়। পরে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে ভেন্টিলেশনের মাধ্যমে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করা হয়। এ অবস্থায় ভারতের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠির পরামর্শে ৪ মার্চ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ওবায়দুল কাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের আইসিইউতে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ফিলিপ কোহের তত্ত্ববাবধানে চিকিৎসা চলে তার। ২০ মার্চ কার্ডিও থোরাসিক সার্জন ডা. শিভাথাসান কুমারস্বামীর নেতৃত্বে সেতুমন্ত্রীর বাইপাস সার্জারি করা হয়। ছয় দিন পর তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। সফল বাইপাস সার্জারির পর ৫ এপ্রিল সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে ওবায়দুল কাদেরকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এরপর থেকে চিকিৎসার ফলোআপের জন্য ওই হাসপাতালের কাছেই একটি ভাড়া করা অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন তিনি। হাসপাতালের চিকিৎসকরা নিয়মিত তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন। চিকিৎসকদের পরামর্শে ১৫ মে দেশে ফিরে আসেন ওবায়দুল কাদের।