প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দেশের জন্য আশীর্বাদ। তাকে মারার জন্য কমপক্ষে ২৩ বার চেষ্টা করা হয়েছে।
দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে, কেউ যেন তার কোনো ক্ষতি করতে না পারে। শেখ হাসিনা টিকে থাকলে আমরা উন্নয়নের সব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে এ দেশকে উন্নত দেশে রূপান্তরিত করতে পারব। প্রধানমন্ত্রী দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বের দৃঢ়তায় এ সাফল্য এসেছে। এজন্য তিনি চির ভাস্বর হয়ে থাকবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন। 
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এ দেশে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। মাথাপিছু আয় কয়েক বছরে কয়েক গুণ বেড়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১০ গুণ বেড়েছে। বর্তমান অতি দারিদ্র্যের হার ১১ শতাংশ। আগামী ৫ বছরে তা ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, তিনটি বিষয়ে শেখ হাসিনার অবদান অসামান্য আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করানো, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা। তিনি আরও বলেন, আইন সবার জন্য সমান। তবে এ দেশে ইনডেমনিটি আইন পাশ করে আইনের শাসনের ব্যত্যয় ঘটানো হয়েছিল। প্রাধানমন্ত্রী এ আইন বিতাড়ন করেন। যারা খুনি তারা শাস্তি পাচ্ছে। যারা আইনের বিপক্ষে, তাদের শাস্তি নিশ্চিত করছেন প্রধানমন্ত্রী। 
বঙ্গববন্ধু একডেমির সহ-সভাপতি শেখ ইকবাল খোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির ভিসি অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা এমএ করিম ও রলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু একাডেমির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবির মিজি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি