প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, সোমবার, মে ২০, ২০১৯ | |
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মুক্তির দূত ও মুক্তির দিশারি হিসেবে আখ্যায়িত করে দলটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেছেন, বাংলার মানুষের মুক্তির দূত ও মুক্তির দিশারি হচ্ছেন শেখ হাসিনা। দেশে ও আন্তর্জাতিকভাবে যা কিছু অর্জন সবকিছুই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। রোববার রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটি আয়োজিত এ সেমিনারে আমির হোসেন আমু বলেন, শেখ হাসিনার অর্জন গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা ফিরিয়ে দেওয়া। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়েছেন, দেশ দিয়েছেন, সেই দেশের কোনো চৌহদ্দি ছিল না, সেই দেশের কোনো সীমা নেই, না ছিল স্থলসীমানা, না ছিল জলের সীমানা। এ দেশ যে কেউ নিয়ে যেতে পারত। সেই সীমানা নির্ধারণ করলেন শেখ হাসিনা। তিনি ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি বাস্তবায়ন করলেন। ছিটমহল সমস্যা সমাধান করলেন। আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে সমুদ্রসীমা ফিরে আনলেন। পার্বত্য শান্তিচুক্তি করার মাধ্যমে ৩৫ বছরের রণাঙ্গনে শান্তি প্রতিষ্ঠা করলেন। মাতৃভাষা বাংলার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করলেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দূরদর্শিতাই রক্তপাত ছাড়া দেশকে সামরিক শাসন মুক্ত করেছেন। গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন। কোনো দেশে যদি সামরিক জান্তারা ক্ষমতা দখল করে, সেই দেশে বিনা রক্তপাতে, বিনা যুদ্ধে ক্ষমতা নেওয়া যায় না। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক নেতৃত্বের কারণেই সামরিক জান্তা স্বৈরশাসক হাত থেকে রাজনৈতিকভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়েছে।
জিয়াউর রহমান ও এরশাদের সমালোচনা করে আমির হোসেন আমু বলেন, এ দেশে বার বার নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন আসে। এ নির্বাচনকে কীভাবে কলুষিত করা হলো। সামরিক সরকার গঠন করার পর জিয়াউর রহমান ও তার সরকারকে বৈধতা দেওয়ার জন্যই প্রয়োজন ছিল রেটিফিকেশনের। সেই রেটিফিকশনের করতে হলে দুই-তৃতীয়াংশ মেজরিটি লাগে সংসদে। দুই-তৃতীয়াংশ মেজরিটি নেওয়া জন্য প্রথম জিয়াউর রহমান নির্বাচনি কারচুপি শুরু করে। এরশাদের আমলে আরও রেটিফিকশন করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করা হয়। আজকে যারা বড় বড় কথা বলেন এ দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া হত্যা, গণতন্ত্র হত্যার মূল হোতাই তো তারা।
বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে আমির হোসেন আমু বলেন, জিয়াউর রহমান দল ভাঙার রাজনীতি করতেন। রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতি নয়, এটি তিনি স্টাবলিস্ট করতে চেয়েছিলেন। তিনি পরিষ্কার বলেছিলেন আমি রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতি কঠিন করে তুলব। এটি তিনি বাস্তবায়নের কারসাজি করেছেন। তিনি রাজনীতিবিদদের চরিত্র হরণ করা থেকে শুরু করে সব ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। আওয়ামী লীগকে বার বার ভেঙেছেন। আওয়ামী লীগের কাউন্সিলকে ঘিরে আবার নতুন করে ভাঙার সুর বাজছিল। সেই মুহূর্তে দলীয় ঐক্য বজায় রাখতে শেখ হাসিনাকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।
তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক এবং তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. হারুন-অর-রশিদ, অর্থনীতিবিদ ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার। এর আগে সেমিনারের মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও লেখক হারুন হাবীব। সঞ্চালনায় ছিলেন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মারুফা আক্তার পপি।
![]() সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected] |