
প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, শুক্রবার, মে ২৪, ২০১৯ | |
যে কোনো ধর্মীয় বা সামাজিক উৎসব মানবজাতির চিত্তবিনোদনের একটি অন্যতম অনুষঙ্গ। আর এ অনুষঙ্গটি হচ্ছে ভ্রমণপিপাসু মানুষের একটি অন্যতম গতিময়তা। ভ্রমণের এ গতিময়তা হচ্ছে পর্যটন শিল্পের অন্যতম ভিত্তি। একটি উৎসব একটি দেশের মানুষের মনে যে উচ্ছ্বাসের জন্ম দেয়; তাই ভ্রমণের অনুপ্রেরণা জোগায়। পর্যটন শিল্প উপজীব্য করে নেয় উচ্ছ্বাসের এ গতিময়তাকে। যে কোনো উৎসবই হচ্ছে পর্যটন শিল্পের বাণিজ্যিক মৌসুম। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় দুটি ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। এ দুটি উৎসব বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের ব্যবসা-বাণিজ্যকেও সম্প্রসারিত করতে দারুণভাবে সহায়তা করছে।
ঈদ প্রতিটি দেশের পর্যটন শিল্পের জন্য একটি বড় বাণিজ্যিক কর্মকা-। গত বছর তুরস্কে ঈদুল ফিতরে তিন দিন বন্ধে এজিয়ান কোস্টের রিসোর্ট টাউন-বধরুম, মারমারিজ, আকায়কিয়া এবং ফেতিয়াসহ ভূমধ্যসাগরীয় এলাকার অন্তলীয়া প্রদেশের হোটেল ও রিসোর্টগুলোতে অক্যুপেন্সি রেট ছিল ১০০ শতাংশ। তুরস্কের ডমেস্টিক এয়ারপোর্ট-এ ৯ দিনের ছুটিতে প্রায় ৫ লাখ পর্যটককে সেবা দিতে হয়েছে। সারা দেশে দেশি-বিদেশি পর্যটক ভ্রমণ করেছিল কয়েক মিলিয়ন। ওই দেশের সরকার পরিবহনের ওপর ডিসকাউন্ট দিয়েছিল, যাতে হাজার হাজার মানুষ গ্রামের বাড়িসহ অন্যান্য জায়গায় বেড়াতে যেতে পারে। (সূত্র : দৈনিক হুরিয়ত, ১৪ জুন, ২০১৮)। গত বছর একই সময়ে দুবাইয়ের ৫-৭ তারকামানের হোটেলগুলো বিদেশি পর্যটকরা ১০-১৫ দিন আগেই ফুল বুকিং করেছিল এবং প্রচুর আয় হয়েছিল। বর্তমানের আরব আমিরাত হালাল পর্যটনে র্যাংকিংয়ে প্রথম স্থান অধিকার করে আছে। ঈদের সময় মালয়েশিয়া তার নানা ঢঙের নানা অফারে সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে প্যাকেজ বিক্রি করছে। ২০১৭ সালে প্রায় ৫০ লাখ মুসলমান পর্যটক মালয়েশিয়া ভ্রমণ করেছে, যার ভেতর ঈদ প্রাধান্য পেয়েছে। (সূত্র : বি.মাই.গেস্ট)। বাংলাদেশও ঈদের ছুটি হচ্ছে পর্যটন শিল্পের একটি উত্তম ব্যবসার মৌসুম। এরই মধ্যে বাংলাদেশের ট্যুর কোম্পানিগুলো দেশে-বিদেশে ভ্রমণের প্যাকেজ অফার করছে। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় ২৫ লাখ লোক বিদেশ ভ্রমণ করে, যার মধ্যে ভারতেই যায় ২০ লাখ বাংলাদেশি পর্যটক। আশা করা যায়, এ ঈদে বাংলাদেশের প্রায় ১২ থেকে ১৫ লাখ পর্যটক দেশের বিভিন্ন পর্যটন গন্তব্যে ভ্রমণ করবে।
প্রতি বছর আমাদের মাঝে ঈদ হাজির হয় অপার আনন্দ আর অসীম উচ্ছ্বাস নিয়ে। মুসলমানদের মাঝে ঈদ হচ্ছে সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব। এবার ঈদুল ফিতর একেবারে গ্রীষ্ম ঋতুর শেষ দিকে অর্থাৎ জ্যৈষ্ঠ মাসে উদযাপিত হচ্ছে। জ্যৈষ্ঠ মাস হচ্ছে মধুমাস। আম, কাঁঠাল, লিচু, তরমুজ, আনারস, সফেদা, বাঙ্গি, হুট, আতাসহ আরও কত রকমের রসালো সুস্বাদু ফলের বাহার আমাদের নজর কাড়ে। এ মাসে রাজশাহী, দিনাজপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটসহ উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন প্যাকেজ ট্যুরের আয়োজন করা হয়ে থাকে। তাই এবার ঈদের আনন্দ এবং ছুটিতে ভ্রমণ হবে ভিন্ন মাত্রার। একদিকে মধুমাস এবং অন্যদিকে পর্যটন আকর্ষণগুলোতে ভ্রমণের জোয়ার সব মিলিয়ে পর্যটকদের জন্য হবে অনাবিল খুশির মেলা।
ঈদকে কেন্দ্র করে আমাদের পরিকল্পনার শেষ নেই। কেউ পরিকল্পনা করে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার, কেউবা করে কোনো আকর্ষণীয় জায়গায় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়িয়ে আসার। বাংলাদেশের মানুষ খুব উচ্ছ্বাসপ্রিয়। এরই মধ্যে তারা ভ্রমণপ্রিয় হয়ে উঠছে। ইদানীং তারা ঈদের ছুটি ছাড়াও বিভিন্ন সময় বংলাদেশের বিভিন্ন আকর্ষণীয় স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাংলাদেশে এ জন্য বিদেশি পর্যটকদের আগমন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অভ্যন্তরীণ পর্যটকদের সংখ্যাও ক্রমে বাড়ছে।
এবার ঈদে যারা দেশে ভ্রমণ করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা স্বল্প সময়ের জন্য ঢাকায় এবং ঢাকার আশপাশে গড়ে ওঠা বিভিন্ন রিসোর্ট, পিকনিক স্পটে ডে ট্যুর করতে পারেন। অথবা ঢাকার অদূরে ভাসমান পর্যটন রেস্তোরাঁয় বেড়িয়ে স্বল্প সময়ের জন্য নৌভ্রমণ করতে পারেন। অথবা নারায়ণগঞ্জের পানাম সিটি, কুমিল্লার ময়নামতিতেও সারাদিন কাটিয়ে বিকালে ফিরে আসতে পারেন। আরও দেখে আসতে পারেনÑ সাভারের গলফ কোর্স, পর্যটনের জয় রেস্তোরাঁ, মানিকগঞ্জের বালিহাটি জমিদার বাড়ি, এলেঙ্গা, যমুনা রিসোর্ট অথবা টাঙ্গাইলের ধনবাড়ির রয়েল রিসোর্ট, ভাওয়ালের কোলঘেঁষে গড়ে ওঠা ‘ঢাকা রিসোর্ট’, নড়াইলের ‘অরুণিমা রিসোর্ট’ কিংবা টাঙ্গাইলের ‘আজিয়ের’-এর কমিউনিটি পর্যটন কেন্দ্র (তাঁতঘর, আতিয়া জামে মসজিদ এবং স্থানীয় সংস্কৃতি অবলোকন এবং দেশীয় সুস্বাদু খাবার উপভোগ এর সুযোগ রয়েছে)।
আর ২/৩ দিন বেড়ানোর জন্য ঘুরে আসতে পারেন নওগাঁর পাহাড়পুর এবং পতিসর, জয়পুরহাটের জগদ্দল বিহার, দিনাজপুরের কান্তজী মন্দির এবং রামসাগর, বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ এবং সুন্দরবন।
আর প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলোর জন্য যেতে পারেন নেত্রকোনার সুসং দুর্গাপুর এবং বিরিসিরি, কলমাকান্দা, গোবিন্দগঞ্জ, নড়াইলের অরুণিমা রিসোর্ট, সিলেটের লাউয়াছড়া, টাঙ্গুওয়ার হাওর, হাক্কাইর হাওর, বাইক্কার বিল এবং শ্রীমঙ্গলের অপূর্ব মনো-বিহারিণী চা-বাগান, লাউয়াছড়া বন। আরও বেড়িয়ে আসতে পারেন জাফলং কিংবা মাধবকু- জলপ্রপাতে। বেড়িয়ে আসতে পারেন সিলেটের তামাবিল, ভোলাগঞ্জ, লালাখাল, পাইন নদী, যার পানি অত্যন্ত স্বচ্ছ। সিলেট শহরের অদূরে বড়শালায় রয়েছে দ্য ওল্ডেস্ট টি এস্টট অব বাংলাদেশÑ মালনিছড়া চা-বাগান এবং পাহাড়ের ওপরের পর্যটন মোটেল যেখান থেকে দেখা যায় মেঘালয়ের ছোট-বড় অনেক ঝরনা, যা দেখতে অপূর্ব লাগে। অরুণিমা রিসোর্টের চেয়ারম্যান খবিরউদ্দিন আহম্মদ জানিয়েছেন, ‘এবার ঈদকে কন্দ্রে করে অরুণিমা সেজেছে বর্ণিল সাজে। মিরাক্যাল গার্ডেন, পিকনিক কর্নার, সুইমিং পুলসহ নতুন নতুন ইকো কটেজ স্থাপন করা হয়েছে। দেশি-বিদেশি পাখির কলকাকলিতে ন্যাচার-বেইজড অ্যাক্টিবিটিসহ রিসোর্টকে আরও সুসজ্জিত করা হয়েছে এবং সেবার মান আরও উন্নত করা হয়েছে।’ ঢাকা রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সজীব বলেছেন, ‘এবার ঈদের অতিথিদের উন্নত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে রিসোর্টের কটেজ এবং সুইমিং পুলকে আরও সুসজ্জিত করা হয়েছে।’
এবার ঈদুল ফিতর জ্যৈষ্ঠের শেষ দিকে হওয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি, বান্দরবান এবং খাগড়াছড়িতে বেড়াতে গেলে ভিন্ন ধরনের এক আমেজ পাওয়া যাবে। এ সময় পাহাড়ে পাহাড়ে ঘন সন্নিবেশিত সবুজের সমারোহ আর মেঘমালার মিতালিতে হৃদয় ছুঁয়ে যাবে। শোনা যাবে পাহাড়ের অন্তহীন গহিন শব্দ এবং মায়াবী সুর। এখানে আরও আছে বিভিন্ন নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠীর বর্ণিল জীবনধারা। কোথাও কোথাও মেঘমালা আপনাকে নরম পরশ বুলিয়ে যাবে। আপনার ভেতর ভিন্ন এক রোমাঞ্চ কাজ করবে। রাঙ্গামাটি, বান্দরবান এবং খাগড়াছড়ি তিন পার্বত্য জেলাতেই পর্যটন মোটেল রয়েছে, যেখানে পাবেন আরামদায়ক আবাসন এবং সুস্বাদু খাবার। প্রত্যেকটি মোটেলই পাহাড়ের কোলঘেঁষে অবস্থিত, যার ফলে মনে হবে আপনি প্রকৃতির কোলেই ঘুমিয়ে আছেন।
ঢাকা থেকে আরও দূরে যেতে চাইলে নিঃসন্দেহে কক্সবাজার থাকবে তালিকার শীর্ষে। সাগরের মিতালি আর রোমান্টিক মেরিন ড্রাইভ এবং হালকা বৃষ্টি আপনাকে রোমান্টিক করে তুলবে। ইনানী বিচে পাবেন স্বর্গীয় আবেশ, একদিকে সমুদ্রের ঢেউ গর্জন করতে করতে আপনার পায়ের কাছে আছড়ে পড়বে, অন্যদিকে পেছনের পাহাড় থেকে পাবেন পাখির ডাক। ট্যুর অপারেটররা জানিয়েছেন, ‘ঈদে ইনানী বেড়ানো হবে পর্যটকদের জন্য বিশেষ বোনাস। সাগর, সুস্বাদু মাছ আর উৎসবমুখর মানুষের কোলাহলে এখানে এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ তৈরি হয়।’
আপনার ঈদকে আনন্দময় করতে ভ্রমণের কোনো বিকল্প নেই। পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের ছুটিতে বেড়াতে গেলে পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় হয়। অনেক সমস্যার সমাধান হয়। বন্ধু-বান্ধবের ভেতর সম্পর্ক গভীর হয়। ঈদের পরের দিন থেকে সারা বাংলাদেশে ট্র্যাফিক জ্যাম কম থাকে বিধায় এ সময়ে ভ্রমণ করাটা আনন্দদায়ক হয়।
ভ্রমণ মানুষের সহজাত নেশা। মানুষ প্রাচীনকাল থেকেই ভ্রমণসহ নানা প্রয়োজনে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ভ্রমণ করেছে। তবে বাঙালিদের ভ্রমণ তত প্রাচীন না হলেও বর্তমান বাঙালিদের মধ্যে ভ্রমণের নেশা জেগেছে। তাই তো কক্সবাজার, কুয়াকাটাসহ বিভিন্ন পর্যটন আকর্ষণ স্থানগুলোতে মানুষের উপচেপড়া ভিড়। যুবক, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী, সব বর্ণ, ধর্ম এবং পেশার মানুষ ছুটি পেলেই ছুটে চলে ভ্রমণের তীব্র নেশায়।
এবার ঈদে আনন্দ ভ্রমণের জন্য ট্যুর অপারেটরগুলো দেশে-বিদেশের নানারকমের আকর্ষণীয় প্যাকেজ আয়োজন করছে। যারা আর্থিকভাবে সচ্ছল তারা ঘুরে আসতে পারেন মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, নেপাল কিংবা ভুটান। আর যারা দেশে বেড়াতে চান তারা দেশের মধ্যে কম খরচে যে কোনো ট্যুর অপারেটেরের মাধ্যমে ঘুরে আসতে পারেন। বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় ট্যুর কোম্পানি ‘গ্রিন হলিডে’-এর স্বত্বাধিকারী বোরহান জানান, এবার দেশের ভেতর কক্সবাজারসহ সারা দেশে এবং বিদেশে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া তার অনেকগুলো প্যাকেজ অফার আছে।
মানুষের মধ্যে ভ্রমণের আগ্রহ যত বাড়বে দেশে মানুষের অপকর্ম এবং নেতিবাচক কার্যক্রম ততই কমবে। চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ কমবে। ভ্রমণপ্রিয় মানুষের মন উদার হয়। আবার যে এলাকায় পর্যটকরা আগমন করেন অর্থাৎ সে এলাকার মানুষের মধ্যে অতিথিপরায়ণ মনোভাব গড়ে ওঠে। এতে সামাজিক সম্প্রীতি গড়ে ওঠে। সামাজিক বন্ধন সুদৃঢ় হয়। ঈদকে কেন্দ্র করে ভ্রমণে পুরো বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে সদ্ভাব, সম্প্রীতি এবং সহমর্মিতা গড়ে ওঠে। এছাড়া এ ভ্রমণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক গতিশীলতা সৃষ্টি হয়। ফলে পর্যটন এবং স্থানীয় কমিউনিটি উভয়ই উপকৃৃত হয়। ঈদ ভ্রমণে পর্যটকরা বেতন, বোনাস পায়, ফলে আনন্দের সঙ্গে তারা খরচ করে। পর্যটন আকর্ষণীয় স্থানে এসে তারা ভিন্নতর মানুষ এবং সংস্কৃতির সান্নিধ্যে এসে অনেক কিছু জানতে পারে, জ্ঞান লাভ করতে পারে। অন্যদিকে স্থানীয় সম্প্রদায় তাদের অতিথিদের খাবার, বাহন এবং সেবা দিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হয়। এজন্য যারা ঈদে ভ্রমণ করেন তারা স্থানীয় সম্প্রদায়ের কাছ থেকে উষ্ণ আতিথেয়তা লাভ করতে পারেন। এজন্য বাংলাদেশে ঈদ হচ্ছে আরেকটি পর্যটন মৌসুম। অতএব চলুন, আমরা এ ঈদে কোথাও থেকে বেড়িয়ে আসি।
পর্যটন মানে উৎসব, পর্যটন মানে আনন্দঘন অনুষ্ঠান আর অনাবিল ভ্রমণ। যেহেতু ঈদ বাংলাদেশের একটি বড় ধর্মীয় উৎসব, এ উৎসবকে আমাদের পর্যটন শিল্প যাতে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারে, সেজন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন, বিশেষ করে সড়কে উন্নত যানবাহন সরবরাহ করা, সড়কের অরাজকতাসহ বেহাল দশার প্রতিকার করা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সড়কের ঝক্কি-ঝামেলা প্রতিকার করতে পারলে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো যে কোনো উৎসবে লাখ লাখ পর্যটক দেশের বাইরে না গিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভ্রমণ করবে। এতে কোটি কোটি টাকা আয় হবে। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে হাজারও বেকার যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। হ
ষ মো. জিয়াউল হক হাওলাদার
ব্যবস্থাপক, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন
![]() সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected] |