প্রকাশ: ১২:০০:০০ AM, শুক্রবার, মে ২৪, ২০১৯ | |
পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে রেল নেটওয়ার্কে আনতে নেওয়া ‘দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে গুনদুন পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পে’ প্রতিশ্রুত আরও ৪০ কোটি ডলার ঋণ ছাড় করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সংস্থাটির ঋণ চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ ও এডিবির পক্ষে সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে, ইআরডি ও এডিবি ঢাকা অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০০৭ সাল থেকে চলমান প্রকল্পটি মোট ব্যয় প্রাক্কলিত রয়েছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১৩ হাজার ১১৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঋণ দিচ্ছে এডিবি। ১৫০ কোটি ডলার সহায়তার মধ্যে এডিবি প্রথম দফায় ৩০ কোটি ডলার ছাড় করেছে। বৃহস্পতিবারের চুক্তির ফলে প্রকল্পটিতে মোট ছাড় হচ্ছে ৭০ কোটি ডলার। এ অর্থ ছাড় হলে প্রকল্পের আওতায় ১২০ কিলোমিটার রেলপথের ২৭ শতাংশের কাজ শেষ হবে। তৃতীয় পর্যায়ে এ প্রকল্পে ৫০ কোটি ডলার ও শেষ পর্বে ৩০ কোটি ডলার দেবে এডিবি। এদিকে প্রকল্পটিতে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রকল্পটিতে ক্রমপুঞ্জিভূত ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার ৩৬৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। এ বছর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ রয়েছে ৫২৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আগামী বছর বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ১ হাজার ১০৫ কোটি টাকা।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, এডিবি বাংলাদেশের রেল খাতের উন্নয়নে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রেল যোগাযোগ তুলনামূলক নিরাপদ, আরামদায়ক, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব। এ প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে কক্সবাজার এলাকায় রেলের মাধ্যমে বিনিয়োগ, পর্যটন ও বাণিজ্যের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। প্রকল্পটি বয়স্ক, নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের সেবা দিতে বিশেষ সহায়ক হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, সরকারের ১০ অগ্রাধিকার তথা ফাস্ট ট্র্যাকের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে প্রকল্পটি। এর কাজ ২০২৩ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যে এর মাধ্যমে বছরে ২৯ লাখ যাত্রী চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে যাতায়াত করতে পারবেন। চট্টগ্রাম কক্সবাজার রেলপথ ট্রান্স এশিয়ান রেললাইনের মধ্যে রয়েছে। জাতিসংঘের প্রস্তাবিত এ লাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে। এডিবি সূত্র জানায়, এ প্রকল্পে দেওয়া সংস্থাটির ঋণ ২৫ বছরে পরিশোধ করতে হবে। এর মধ্যে রেয়াতকাল থাকবে পাঁচ বছর। ইউরিবোরের সঙ্গে দশমিক ৫ শতাংশ যোগ করে ঋণের সুদ পরিশোধ করতে হবে। এ ঋণের ম্যাচ্যুরিটি প্রিমিয়াম দশমিক ১ শতাংশ। এছাড়া অবিতরণকৃত ঋণের জন্য কমিটমেন্ট চার্জ দশমিক ১৫ শতাংশ। প্রকল্পের আওতায় এডিবির অর্থায়নে পূর্তকাজ, মালামাল ও সেবাদি সংগ্রহের জন্য এডিবির ক্রয় নীতিমালা এবং পরামর্শক গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
![]() সম্পাদক ও প্রকাশক : কাজী রফিকুল আলম । সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক আলোকিত মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫ থেকে প্রকাশিত এবং প্রাইম আর্ট প্রেস ৭০ নয়াপল্টন ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক বিভাগ : ১৫১/৭, গ্রীন রোড (৪র্থ-৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৯১১০৫৭২, ৯১১০৭০১, ৯১১০৮৫৩, ৯১২৩৭০৩, মোবাইল : ০১৭৭৮৯৪৫৯৪৩, ফ্যাক্স : ৯১২১৭৩০, E-mail : [email protected], [email protected], [email protected] |